আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুক্তিযু্দ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সেই লক্ষ্য আমরা কাজ করে যাবো। আমাদের মূল লক্ষ্য উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনের ভেন্যু পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন চ্যালেঞ্জিং সময়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সংকটে আছি। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সুসংগটিত উপস্থিতির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সুসংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই। আগামী সরকার পরিচালনার জন্য আমরা প্রস্তুত।
কাদের বলেন, সভাপতি আমাদের অপরিহার্য। যিনি (শেখ হাসিনা) সভাপতি তিনি আমাদের ঐক্যের প্রতীক। এই মতের ভিন্ন একজনও কাউন্সিলর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানা মতে দলে সেক্রেটারি হওয়ার মতে ১০ জন যোগ্য নেতা আছেন। কে হবেন সেটা নেত্রীর ইচ্ছা এবং কাউন্সিলরদের মতামত। সবকিছুর প্রতিফলন ঘটবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনে যে কমিটি হবে এখানে তেমন একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। নির্বাচনের পর আগামও সম্মেলন হতে পারে। তখন একটা মেজর হিসেব হতে পারে। আপাতত বড় কোনো ধরণের পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন ঐতিহাসিক সম্মেলন হবে। সারাদেশে জাগরণের ঢেউ আছে। সমৃমেলনে নেতা-কর্মীদের ঢল নামবে
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।