প্রথমবারের মতো শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন জমিয়ত নেতা মনির কাসেমি

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 00:02:55

বাংলাদেশের স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পর প্রথমবারের মতো মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রাচীন ধর্মীয় রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এক নেতা।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমির নেতৃত্বে কয়েকজন আলেম খালি পায়ে চাষাঢ়ায় অবস্থিত বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা মোনাজাতও করেন।

যদিও অনেকেই বলছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জমিয়ত নেতা বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এটা তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

জানা গেছে, বিগত ৪৭ বছরে এ দেশে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট অনেক দিবস পালন করা হলেও কোনো দিবসে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা সেভাবে অংশহগ্রহণ করেন না। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনেরও কোনো দৃষ্টান্ত নেই। এক্ষেত্রে মুফতি মনির একটি নজির স্থাপন করলেন বিজয় স্তম্ভে ফুল নিবেদন করে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। খেজুরগাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তালিকায় দলটির নিবন্ধন নম্বর ২৩। দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন খলিফায়ে মাদানি শায়েখ আবদুল মোমিন আর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। সম্প্রতি দলটি ভাঙনের শিকার হলেও দুই অংশই ২৩ দলীয় জোটের অংশীদার। অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। তিনি যশোর-৫ আসন থেকে ২৩ দলীয় জোটের মনোনয়ন পেয়েছেন।

আর এ (মুমিন-কাসেমী) অংশ তিন আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ২৩ দলীয় জোট থেকে। যারা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। আসনগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমি, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী ও সিলেট-৫ আসনে মাওলানা উবাইদুল্লাহ ফারুক।

জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের ৩ প্রার্থীর মাঝে ভোটের মাঠে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমি লড়বেন মহাজোটের হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানের বিপক্ষে।

মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি অনেকটা হঠাৎ করেই মনোনয়ন পেয়েছেন। এ কারণে স্থানীয় বিএনপিকে সেভাবে এখনও কাছে পাননি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়। এমন দূরত্ব কমতে না কমতেই নির্বাচনী পোস্টারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার না করায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আরও ক্ষুব্ধ হন। যদিও মুফতি মনির প্রতীক পাওয়ার পর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমি রক্ত মাংসে সবকিছুতে বিএনপির। যদিও আলেম হিসেবে ইসলামী একটি সংগঠনের রাজনীতি করি। কিন্তু আমিও বিএনপির। এমন বক্তব্যের পর খালেদা জিয়ার ছবি না দিয়ে পোস্টার করা ব্যাপক ক্ষোভের কথা জানতে পেরে পরে অবশ্য তিনি পোস্টারে খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর