মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের আশ্রিত গরিব-অসহায় মানুষগুলোকে কষ্ট দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাদকাসক্ত মিল্টন সমাদ্দার। 

যখন মানুষগুলোর অপারেশনের প্রয়োজন হতো, তখন নিজ হাতে ব্লেড দিয়ে তাদের আঙুল কেটে ফেলতো মিল্টন। ব্লেড, ছুরি দিয়ে কাটাছেঁড়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো অমানবিক কষ্ট পেতেন, আর্তনাদ করতেন। এসব দেখে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন। 

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত লোমহর্ষক তথ্য সম্পর্কে জানান ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রোববার (০৫ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ আক্ষেপ করে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের মতো সাইকোপ্যাথিক মানুষ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি যে নির্যাতন করে, ব্লেড ছুরিতে নিজেই অপারেশন করতেন, টর্চার সেলে মানুষকে পেটাতেন, তাদেরকে তিনি বানর বলে অভিহিত করতেন। পিটিয়ে নিস্তেজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, এসব করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। আমরা তার টর্চার সেল থেকে আলামত জব্দ করেছি। কথিত অপারেশন থিয়েটার থেকে ব্লেড,  ছুরি জব্দ করেছি।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার ভয়াবহ অপরাধ করেছেন। একটি দুটি অপরাধ করেননি, তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ তো ভয়াবহ। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার একাউন্টে এখনো ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আছে। এতোগুলো টাকা থাকার পরও তিনি কাউকে চিকিৎসা করাননি। তিনি নিজেই হয়ে গেছেন অপারেশন থিয়েটারের হেড। তার অপারেশন থিয়েটারে থাকতো একটা ছুরি ও কিছু ব্লেড। তিনি এগুলো দিয়েই নিজেই অপারেশন করাতেন। এরকম ভয়াবহ, অমানবিক আচরণ, অসভ্য আচরণ, এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্যই তো লজ্জাজনক। যারা তার সঙ্গে জড়িত, যারা পেট্রনাইজড করেছে, সহযোগিতা করেছে, ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য যারা পেট্রন করেছে, ফাউন্ডেশনের মেম্বার তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

হারুন বলেন, যে ছেলেটা সেই উজিরপুর থেকে বাবাকে পিটিয়ে ঢাকায় এসে ঔষধের দোকানে চুরি করেছেন, এরপর একটা আশ্রম গড়ে তোলেছেন। যেখানে সে অসহায়, গরীব শিশু, বৃদ্ধ, প্যারালাইজড, বাকপ্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে সংগ্রহ করে আশ্রমে নিতেন। তাদের দেখিয়ে তিনি ফেইসবুকে ফলোয়ারের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেন। সেই টাকা আবার তিনি খরচা করতেন না।

তার আশ্রমে ৯০০ লোক মারা গেছে বলে নিজেই প্রচার করতেন উল্লেখ করে হারুন বলেন, মানুষগুলো মারা গেছেন। জানাজা হলো না, রাতের অন্ধকারে কবর দেয়া হলো, আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হলো না, মিথ্যেভাবে সিল স্বাক্ষর দিয়ে নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট দিলেন, পরেও স্বজনদের জানালেন না, এসবই আমাদের তদন্তে আসবে।

যেসব শিশু তার আশ্রমে ছিল, তাদের খোঁজ পাবার পর দেখা করতে দেয়া হতো না স্বজনদের। ওই শিশুদের ক্ষেত্রে আসলে কী ঘটেছিল? বিক্রি করতো? কিছু পেয়েছেন আপনারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে হারুন বলেন, একটু ধৈর্য ধরেন সবই বেরিয়ে আসবে। এরকম আরও যেসব মিল্টন সমাদ্দার বাংলাদেশে যদি আরও থেকে থাকে, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা নামে এ ধরনের অপকর্ম করে থাকে তাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেই বলেছেন, ৯০০ লোকের প্রাণ নিভে গেলো! কীভাবে নিভে গেলো? তিনি তো তাদের হাসপাতালে নেননি, ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি, থানা পুলিশকে অবহিত করেননি। আবার ৯০০ লোকের প্রাণ যাবার যে কথা তিনি বলেছেন, সেটা আদৌ সত্য কিনা, নাকি এটা টাকা ইনকামের একটা কথার কথা! সত্য হলে কি করেছেন। সব তদন্তে নিয়ে আসবো। এই আশ্রমের সঙ্গে আরও যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

হারুন বলেন, অটিজম শিশুদের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাতনী প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের (ডব্লিউএইচওএসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বৈশ্বিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। আর সেই দেশে অটিজমের নাম ধারণ করে অসহায়, বাক প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন মানুষ সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রচার করে ফলোয়ারদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে তিনি সেই টাকা খরচা করেননি। এটা তো লজ্জাজনক।

তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন। আমরা তো সেখানে যাতায়াত করা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, মিল্টন সমাদ্দার তার সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন, যা তিনি জানতেন না। মিল্টন সমাদ্দার নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তিনি নাকি মানবতার ফেরিওয়ালা। এসব অপকর্ম করে কীভাবে একজন মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হয়?

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা সিটি করপোরেশনের মৃত সনদ জাল কারার অভিযোগের মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।

রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে স্থানীয়রা। গ্রেফতারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।

   

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে রাজস্ব শাখার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ৩১০ নং কক্ষে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য বলেন, কক্সবাজার ডিসি অফিসে আগুন ধরার খবর পেয়ে আমরা তৎক্ষনাৎ আসি। এসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যেখানে কিছু কাগজপত্র পুড়ে গেছে।

ঘটনার পরপরই কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

;

বগুড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ খোকন পার্কে ওই প্রার্থীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ শেষে এই জরিমানা করা হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরি ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খাঁন রনির এই জরিমানা করা হয়। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, শহীদ খোকন পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশগ্রহণকারিগণ প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত টি-শার্ট পরিধান করেন। এটি নির্বাচন আচরণ বিধির লঙ্ঘন। প্রার্থী অথবা প্রার্থীর পক্ষে যে-ই প্রচারণা চালাক এটি আচরণবিধি লঙ্ঘন। বিধিমালা আনুযায়ী প্রার্থীর ছবি বা প্রতীক সম্বলিত টি-শার্ট, ফতুয়া, জ্যাকেট পরিধান করা যাবেনা। একারণেই তাঁর জরিমানা করা হয়েছে।

সুলতান মাহমুদ খান রনি বলেন, ‘আমি নিজে ওই টি-শার্ট সরবরাহ করিনি। কেউ হয়তো ভালোবেসে সমাবেশে টি-শার্ট সরবরাহ করে থাকতে পারে। যেহেতু তা আচরণবিধি লঙ্ঘন উল্লেখ করে জরিমানা করা হয়, একারণে সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।’

;

আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে যাবেন না: ইসি রাশেদা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে যাবেন না৷ আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে থেকে যদি ভোটারদের ভয় দেখান তাহলে সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা আমরা বাতিল করে দিব। এরপর কোর্টে যেতে চাইলে যাবেন না হলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। কারণ আমরা কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবো না। আপনারা অবশ্যই আচরণ বিধি মেনে চলবেন।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ইসি রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, আমরা দেখছি ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যান, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করেন। তাঁদের কাছে টেনে নেন। তাঁদের ভোটেই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে।

ইসি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'উপজেলা নির্বাচন আপনি যে এলাকার ভোটার সেই এলাকায় আপনি ভোট প্রদান করবেন৷ এতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনি ওই এলাকায় থেকে কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারবেন না। কাউকে প্রভাবিত করতে পারবেন না, কাউকে ভয় দেখাতে পারবেন না এবং আতংকিত হোক এমন কোন কাজও করতে পারবেন না। এরকম করলে কমিশন আপনাকে আইনগতভাবে ছাড়বে না৷'

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, ১৬ বিজিবি নওগাঁর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান, বগুড়া জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসানসহ গোয়েন্দা বিভাগ, র‍্যাব, আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনও ও থানার অফিসার ইনচার্জ এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ মো. কাদের হোসেন (৩৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত কাদের হোসেন উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে। তিনি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে কাদের হোসেনকে শিবালয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত কাদের হোসেনের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। কাদের হোসেন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলেও জানান তিনি।

;