চট্টগ্রামে জামায়াত নেতা সাইদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে জামায়া-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলায় দায়ের করা হয়েছে। তিন মামলায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনসহ জামায়াত-শিবিরের ৪৬৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এরইধ্যে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
বুধবার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার জামায়াত-শিবিরের উশৃংখল নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতাসহ পুলিশের উপর হামলা ঘটনায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটির মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারা এবং আরেকটিতে দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ১৮৬, ১৮৯ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে এই পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে। বাকিদে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে একই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলশী থানায় দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) আসরের নামাজের পর চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা আয়োজনের ঘোষণা দেয় জামায়াত। যদিও পরে সে কর্মসূচি স্থগিত করে দলটি। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মসজিদ এলাকায় আগে থেকে অবস্থান নেয় পুলিশ।
এদিকে কর্মসূচি স্থগিত করলেও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা আসরের নামাজের আগে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায় সংঘর্ষটি কাজির দেউরী মোড়, ওয়াসা মোড় ও লালখান বাজারের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ এবং জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন আহত হয়।