মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুড়ে যাওয়া দোকানের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে ঘটনাস্থলের দক্ষিণ পাশের চৌরাস্তায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ধ্বংসস্তুপের মধ্যে শেষ সম্বল খুঁজে ফিরছেন কয়েকজন, আর অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এক ব্যক্তি হ্যান্ড মাইকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরির ঘোষণা দিচ্ছেন। অন্যদিকে মার্কেটের পশ্চিম পাশে সোনালী ব্যাংকের নিচে ব্যবসায়ীদের জড়ো হতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাউকেই মার্কেটের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। দুপুর একটার পর মার্কেটটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবি সদস্যরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়লে তাদের সরিয়ে দেয় সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘আপনারা নিজ নিজ দোকানের সামনে চলে যান। যাতে কেউ কোনো মালামাল সরিয়ে না ফেলতে পারে। পাশাপাশি দোকানটি যে আপনার এর প্রমাণস্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, দোকান মালিকের সাথে চুক্তিপত্র এবং মোবাইল নম্বর সাথে নিয়ে আসবেন।’
এদিকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দোকানের সংখ্যা ২৪৩টি। কিন্তু দোকান ব্যবসায়ীদের দাবি দোকান রয়েছে ৩১৭টি। এর মধ্যে পুড়ে গেছে ২১৭টি। মার্কেটটিতে স্থায়ী দোকান ছাড়াও ভাসমান মিলে দোকানের সংখ্যা ৫৫০ এর অধিক ছিল বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ সাহায্যকারী দল। সাড়ে ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃগহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড় ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।