দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আসছেন করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক, যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় আছে এই নামটি। চা দোকান, হাট-বাজার, স্টেশন এলাকাসহ যেখানেই লোক সমাগম সেখানেই আলোচনা হচ্ছে বাবরকে নিয়ে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে সেবামুলক বিশেষ কাজের ফলে জনমনে জায়গা করে নেয়া হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এমপি নির্বাচিত হলে দল, দেশ ও সমাজের জন্য আরো বেশি করে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তারা মনে করছেন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের নন্দনকাননে বেড়ে ওঠা ও রাজনৈতিক হাতেখরি হেলাল আকবর চৌধুরী চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রয়াত মেয়র চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারি হয়ে দল গোছনোর পাশাপাশি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন জনসেবায়। বর্তমানেও চট্টগ্রাম -৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে সরব আছেন রাজনৈতিক মাঠ ও সেবামুলক কাজে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রতিরোধে নানা রকম কাজের পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধক বুথ উদ্ভাবন করে ও নিজস্ব অর্থে অসহায় মানুষদের খাবার এবং অর্থ সহায়তার মাধ্যমে আমজনতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে, করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক, যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ’আমি কিশোর কাল থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমার রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দির চৌধুরীর ছত্রছায়া ও অনুপ্রেরণায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আছি। দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলাম। দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে কারাবরণ করেছি অনেকবার। বহু মিথ্যা মামলায় আসামী হয়েছি কিন্তু নীতির প্রশ্নে কখনো আপোষ করিনী। দল ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মনে করেন আমাকে মনোনয়ন দিলে দেশ ও দলের জন্য মঙ্গল হবে তবে আমি নির্বাচন করতে আগ্রহী। তবে সবার আগে আমার নেত্রীর সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী যা সিদ্ধান্ত দিবে আমি সেই অনুযায়ী কাজ করব।’
জানা যায়, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ছোটকাল থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জি-এস নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে তৎতালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এবং ২০১৩ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ অর্থ সম্পাদক মনোনীত হন।
এ ব্যপারে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল বলেন, ’তারুণ্যের অহংকার হেলাল আকবর চৌধুরী। তিনি আদর্শ ও নীতিতে অবিচল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এক ধারক ও বাহক। দলের জন্য এই নেতার অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা রয়েছে। কাজ করার মতো প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকা এই ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত করলে দল যেমন লাভবান হবে, অন্যদিকে অক্ষুন্ন থাকবে দলের সুনাম। আমজনতার দোরগোড়ায় পৌছে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশের সেবার পরিধি।’