বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে ফেনীতে কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। স্কুল-কলেজ ও অফিসমুখী লোকজনও ছিলেন রাস্তায়। তবে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। এছাড়া কোথাও হরতাল আহবানকারী দলের সমর্থকদের দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ট্রাংক রোড, বড় মসজিদ রোড, শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়ক ও জেলরোডে চলছে রিকশা, সিএনজি থেকে সবধরণের গাড়ি। তবে মহিপাল বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। মহাসড়কে হালকা যান ও মালবাহী গাড়ি ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য দিনের মত শহরে যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
আব্দুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, পারিবারিক কাজে ঢাকা রওনা হচ্ছি। মহিপালে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো বাস পাইনি। কাউন্টারে বলছে যাত্রী বাড়লে বাস চলবে, তাই অপেক্ষা করছি।
শাকিল খান নামে শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, শহরে হরতালের কোনো নজির চোখে পড়েনি। সব ধরণের গাড়ি চলছে। অফিস ও করেছি, কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে হরতালের মধ্যে স্কুল কলেজের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন পরীক্ষাগুলো স্থগিত হলেও চলছে মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক ও মূল্যায়ন পরীক্ষা। হরতালের মধ্যে পরীক্ষা হওয়াতে সন্তানদের নিয়ে আতংকিত অভিভাবকরা।
ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের শিক্ষার্থী মানজিয়া রহমানের অভিভাবক বলেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যেই বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। না চাইলেও ঝুঁকি নিয়ে সন্তানকে বের করতে হচ্ছে। সরকার আর রাজনৈতিক দলের এসব নিয়ে ভাবনা নেই।
স্টার লাইন পরিবহনের মহিপাল কাউন্টারের সহকারী ইনচার্জ আবদুর রহিম বলেন, যাত্রী না থাকায় বাস ছাড়া হয়নি। যাত্রী বাড়লে গাড়ি চলবে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, সকালে হরতালের সমর্থনে ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের সামনে মিছিল বের করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বারবার সহিংসতা করতে চাচ্ছে।
এদিকে ফেনী শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল মহড়া দিতে দেখা গেছে।