লক্ষ্মীপুরে ভাড়ার কথা বলে চালক মুরাদ হোসেনকে (১৫) হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঘাতক আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আবু আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। গ্রেফতার আবু সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে ১৮ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে আবুকে সদর মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। অটোরিকশা ছিনতাই করতেই গলায় গামছা পেঁছিয়ে শ্বাসরোধে মুরাদকে হত্যা করে আবু।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, নিহত মুরাদ দক্ষিণ আন্ধার মানিক গ্রামের মনু মিয়া বাড়ির আজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটা শ্রমিক ছিলেন। তবে প্রায়ই তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে বের হতো। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুরাদ তার বাবার অটোরিকশাটি নিয়ে বের হয়। এরপর সে আর ঘরে ফেরেনি। পরিবারসহ স্বজনরা সম্ভাব্য স্থানে খুঁজলেও কোথাও তার সন্ধান পায়নি। পরদিন দুপুরে মুরাদের সন্ধানসহ প্রতিবেশি সজিব ও আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তার মা মরিয়ম বেগম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। ঘটনার ৪ দিন পর ১১ নভেম্বর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি ধান ক্ষেতে মুরাদের অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্বজনরা গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। তবে মুরাদের লাশ পাওয়া গেলেও অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার নিহতের মা মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, অটোরিকশা চালক মুরাদ হত্যার ঘটনায় ঘাতককে গ্রেফতার করে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। আদালতে আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আসামি জানিয়েছে তিনি একাই হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে আমরা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছি। অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামিকে আদালত জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।