ঝালকাঠি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ক্লিনিকগুলোতে রয়েছে ওষুধ ও লোকবলের সংকট। নেই চিকিৎসার পরিবেশও।
ঝালকাঠি জেলার ৪ উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ৮৭টি। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সেবা দেয়ার নির্দেশ থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকেই তা মানা হচ্ছে না। ক্লিনিকগুলোতে সর্দি, কাশি, জ্বর আর ছোটখাটো রোগের ওষুধ ছাড়া, আর কোনো ওষুধ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।
নিয়মিত গাইনি চিকিৎসক আর মেডিকেল অফিসার না আসায় কোনো সেবাই পাচ্ছে না গর্ভবতী মায়েরা। এছাড়া অধিকাংশ ক্লিনিকের আবাসন ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সেখানে নেই চিকিৎসার পরিবেশ।
সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের ধারাখানা গ্রামের এনামুল হক অভিযোগ করে জানান, কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া হচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে। সপ্তাহে তিনদিন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পর্যায়ক্রমে সেবা দেয়ার কথা থাকলেও খুঁজে পাওয়া যায় না ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। সরকার গ্রামের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষ এর কোনো সুফল পাচ্ছে না।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের ধারাখানা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মো. মনির হোসেন বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও গ্রামের সাধারণ মানুষদের আমরা কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছি না।’
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ হালদার জানান, জেলার অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ২৩টির অবস্থা খুবই খারাপ। ইতোমধ্যে ৮টি ক্লিনিক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও জনবল সংকটের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।