থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন ও নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর বাগেরহাট ও মোংলা বন্দরের দর্শনীয় স্থানসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো। মোংলা পৌর শহর ও বন্দর শিল্প এলাকার হোটেল-মোটেলগুলো পর্যটকে পরিপূর্ণ।
মোংলা থেকে ট্যুরিস্ট লঞ্চ, জালি বোট ও ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানে দেশি-বিদেশি পর্যটক সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে শুরু করে।
থার্টিফাস্ট নাইট ও নতুন বছরকে বরণ করতে মোংলার সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট এবং শরণখোলার কটকা, কচিখালী ও দুবলার চরে পর্যটকরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদিকে এক সঙ্গে অনেক পর্যটকের ভিড় বাড়ায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে বিগত কয়েকদিনের তুলনায় সোম ও মঙ্গলবার পর্যটকদের আনাগোনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইডের জন্য বন বিভাগের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
মোংলার পর্যটন ব্যবসায়ী দি সাউদার্ন ট্যুরসের মালিক মো. মিজানুর রহমান ও দি জিআরএস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক মো. এমাদুল জানান, ৩১ ডিসেম্বর ভোরে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন ও নতুন বছরকে বরণের জন্য তাদের ২টি লঞ্চ দেশি-বিদেশি পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। মঙ্গলবার তারা বনের সৌন্দর্যের আধার কটকায় অবস্থান করেছে। এ সকল দর্শনার্থীরা আরও দু’একদিন বনেই থাকবে।
তারা আরও জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যান চলাচলে বিধি নিষেধ না থাকলে আরও অনেক বেশি পর্যটক আসত। নির্বাচন ও যানবাহন চলাচল বন্ধের কারণে অনেক বিদেশি তাদের পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল বাতিল করেছে। তারপরও আনন্দ উপভোগে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ছুটে আসছে সুন্দরবনে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় বনবিভাগের পাশাপাশি পুলিশ এবং কোস্ট গার্ড সদস্যরাও নিয়োজিত রয়েছে। মোংলার পিকনিক কর্নার ও ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া জয়মনি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও নৌপথে টহল বৃদ্ধি করেছে। সুন্দরবন, বাগেরহাট ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।