ঝালকাঠির দিগন্ত জোড়া মাঠগুলোতে ফোটা সরিষার ফুল নজর কেড়েছে সবার। হলদে রঙের ফুলে মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত মাঠগুলো। এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের হাতছানি দেখা দেয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৪ উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর জমিতে এ বছর সরিষার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ২০০ হেক্টর, নলছিটিতে ১৭৫ হেক্টর, রাজাপুরে ৫০ হেক্টর ও কাঠালিয়ায় ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফল ভালো হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সরিষার ক্ষেতে ফুল ফুটেছে। সড়ক-মহাসড়কের পাশ থেকে চলাচলের সময় মাঠের মাঝখানে থাকা সরিষার ক্ষেত সকলে দৃষ্টি কাড়ে।
অনেকে আবার সরিষা ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পছন্দ করেন। নভেম্বর মাসের শুরুতে সরিষার চাষ শুরু হয়। ফলন পাকতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। এখন মাঝামাঝি সময়। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত। প্রথমে হালকা ভাবে চাষাবাদ করে সরিষার বীজ বপন করতে হয়। এরপরে দু’এক বার সামান্য কীটনাশক দিলেই সহজে ফলন ভালো হয়।
তুলনামূলক কম পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বারইকরণ গ্রামের কৃষক হেলাল হাওলাদার বলেন, ‘আমরা এক একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। ক্ষেতে ফুল ফুটেছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে। সরিষা চাষে ধানের চেয়ে বেশি লাভ।’
ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহজালাল বলেন, ‘আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদেরকে বীজ ও সার সরবরাহ করেছি। পাশাপাশি কৃষকদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।