চুয়াডাঙ্গায় হাঠাৎ করেই বেড়েছে শীত। আর এ কারণে ফুটপাতের দোকানগুলোতে পুরাতন কাপড় কিনতে ভিড় করছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
শহরের প্রাণ কেন্দ্র শহীদ হাসান চত্বর, পোস্ট অফিস, রেল বাজারসহ বেশ কিছু অস্থায়ী দোকানে ফুটপাতে মাদুর বিছিয়ে এসব পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। শীত বাড়ায় জমে উঠেছে দোকানগুলো। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি। প্রতি পিস শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিনশ টাকা। শীত বাড়লে এই দাম আরও বাড়বে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের এসব দোকানের বেশির ভাগ ক্রেতাই দরিদ্র। তাদের অধিকাংশেরই পরিবার দিন আনে দিন খায়। যেদিন তারা কাজ করতে পারে না সেদিন অনেকের ঘরেই উনুন জ্বলে না। তবে অনেক সময় হাইপ্রোফাইল ক্রেতারও দেখা মেলে এসব ফুটপাতের দোকানে।
এদিকে শীত ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় ফুটপাতের পাশে গড়ে ওঠা এসব দোকান দেখা যায় না। তাই তো সারা বছর শীতের জন্য অপেক্ষা করে এখানকার পুরাতন কাপড় বিক্রেতারা।
রেল বাজারের পুরাতন কাপড় বিক্রেতা ফয়সাল জানান, প্রতিবছরই এই সময়ে শীতের কাপড় বিক্রি করেন তিনি। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সাধারণত যারা নামীদামি মার্কেট থেকে গরম কাপড় কিনতে পারে না তারাই ভিড় জমায় তার দোকানে। শীত একটু বাড়লেই ব্যবসা ভালো হয়।
শহরের কোর্ট মোড়ের ব্যবসায়ী সাইদুল জানান, গত বছর বগুড়া থেকে পুরাতন কাপড়ের বেল কেনা হতো যে দামে, এ বছর তার দাম বেড়েছে অনেক। এর মধ্যে বেলের ভেতর অনেক কাপড় নষ্ট থাকে। যার কারণে এবার গরম কাপড়ের দাম একটু বেশি।
ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকানের ক্রেতা মহসীন জানান, কাপড়ের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ এসব দোকানে ভিড় জমায়। ছোট বড় সব বয়সী মানুষের গরম কাপড় পাওয়া যায় এখানে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, হিমেল হাওয়ার কারণে জেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে বছরের শুরুতেই জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সামাদুল হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গাতে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। গত বছর বেশ কয়েকবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল এখানে। এ বছরও জেলায় তাপমাত্রা নিচে চলে এসেছিল।