শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ফলাফল ঘোষণা করা না হলেও সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি আসন পেয়েছে ২২৫টি। এবার নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে একটি দল বিএনপির ওপর নানা ক্ষোভ থেকে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল বিএনপিতে। প্রথম দিকে দলটি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী দিয়েছে ১৩৫ আসনে। তবে লজ্জার কথা হলো দলটির কেউই পাশ করতে পারে নি।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৯৯ আসনের মধ্যে কোনোটিতেই জিততে পারেনি তৃণমূল বিএনপি। ভরাডুবি হয়েছে দলটির চেয়ারম্যান সমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের।
সিলেট-৬ আসনে নির্বাচন করেছিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী। এই আসনে জয় পেয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শমসের হয়েছেন তৃতীয়।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন করেছিলেন তৈমুর আলম। এই আসনে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের (নৌকার) প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। সেই আসনে তৈমুর আলম খন্দকার (তৃণমূল বিএনপি) সোনালী আঁশ মার্কায় ৩ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
এছাড়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আসনে তাদের প্রার্থীরা ১ হাজার ভোটের কোটাও পার করতে পারেনি। ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত তৃণমূল বিএনপির প্রতীক ‘সোনালী আঁশ’।
নির্বাচনের আগেই দলটির ভরাডুবি অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিল। দলটির প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের চরম অসহযোগিতার অভিযোগ করছিলেন শুরু থেকেই।
উল্লেখ্য, ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৫টি আসন, জাতীয় পার্টি (জাপা) ১১টি, স্বতন্ত্র ৬১টি ও অন্যান্য দল ১টি আসন পেয়েছে।