গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) মায়ের ছেড়ে দেওয়া আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন মেয়ে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ওই আসনের বর্তমান এমপি ও জোটের প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিল্পপতি আফরোজা বারী। কিন্তু জাপার সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমঝোতায় এই আসনের নৌকার প্রার্থী দলের নির্দেশে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার ফলে এ আসনে জোটের প্রার্থী ছিলেন লাঙল প্রতীকের বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
কিন্তু নির্বাচনে শিল্পপতি আফরোজা বারী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জোটের প্রার্থীর সঙ্গে ঢেঁকি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তারই মেয়ে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। নির্বাচনে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নিগার। আর তার নিকটতম লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।
নাহিদ নিগার ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী ছাড়াও এই আসনে ভোট যুদ্ধে ছিলেন ১০ জন প্রার্থী। এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার (হাত ঘড়ি), এনএনপি’র মর্জিনা খান (আম), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. আবু ববক্কর সিদ্দিক (গামছা), জাসদের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ (মশাল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ফকরুল হাসান (ডাব), বিএনএফ’র ওমর ফারুক সিজার (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম (ঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন (ট্রাক)।
জাতীয় পার্টির দুর্গ বলে পরিচিত এই আসনটিতে ২০০১ সালে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালে আবারও আসনটি দখলে নেয় জাতীয় পার্টি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়ে ২০১৬ সালে নিজ বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
তার মৃত্যুতে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। পরে ওই বছর তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেলে পরের উপ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি এমপি নির্বাচিত হন।