অতিরিক্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে এবং ধীর গতির যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে তীব্র শীতের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ভোররাত থেকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত এই যানজট সৃষ্টি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে পরিবহনগুলো এলোমেলোভাবে গাড়ি চালায় চালকরা। এর ফলে সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার যানবাহনগুলো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করেন চালকরা।
পাবনাগামী ট্রাকচালক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ভোররাত থেকে অতিরিক্ত কুয়াশা পড়েছে। এতে করে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কের সড়কে আজ সকাল থেকে অনেক যানজট হয়েছিল। আধাঘণ্টা ধরে বসেছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রংপুরগামী বাসযাত্রী হাসান মিয়া ও নজরুল ইসলাম বলেন, কুয়াশা কিছু দেখা যায়। তারমধ্যে প্রচুর শীত। যার ফলে চালকরা খুব ধীরগতিতে গাড়ি চালাচ্ছে। এতে করে সেতু পূর্ব রেলস্টেশন এলাকার জোকারচর এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে যানজটে বসে আছি।
এদিকে, মহাসড়কের তীব্র যানজট যানজট নিরসনে এলেঙ্গা হাইওয়ে ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্যরা কাজ করছেন। পরে বেলা সাড়ে ৮ টার পর থেকে মহাসড়কের কিছু কিছু অংশে যানজট কমে আসতে শুরু করেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ভোর রাত থেকে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল, ঘনকুয়াশা পড়লেও টোল আদায়ে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। স্বাভাবিকের মতো টোল আদায় করা হচ্ছে। টোলপ্লাজা এলাকায় ঘনকুয়াশায় গাড়ির গতির দৃষ্টিসীমা পরিমাপক বিশেষ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।