ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মো. সবুজ আলী (৩৬) নামে এক ইট ভাটা শ্রমিককে ৫ দিন পা'য়ে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ইটভাটা শ্রমিক সবুজ আলী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আবজাল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় খবর পেয়ে ওই শ্রমিককে উদ্ধারের পাশাপাশি ইটভাটার মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ছানিয়ানতলা গ্রামের মো. আ. গণির ছেলে ইট ভাটার মালিক মো. খাইরুল আলম রাসেল ও ম্যানেজার মো. আসাদুল্লাহ মিয়া (৭০)।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে তোলা হলে বিচারক সিফাত উল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার মগটুলা মগটুলা ইউনিয়নের নব্বইয়ের বাজার সংলগ্ন আব্দুল গনি ব্রিকস ফ্যাক্টরি থেকে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় সবুজ আলীর বাবা আবজাল হোসেন বাদী হয়ে ৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ইট ভাটার মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, মো. সবুজ আলী ইট ভাটার কাজ করার জন্য ৪০ দিন আগে নিজ বাড়ি থেকে একই এলাকার ইট ভাটার সর্দার আনসার আলীর নেতৃত্বে ১৮ জনের একটি দল ঈশ্বরগঞ্জের তরফ পাছাইল এজিবি (আ. গণি ব্রিক্স) কাজ করার জন্য আসেন। সর্দার আনসার আলী এজিবি (আ. গণি ব্রিক্স) মালিত মো. খাইরুল আলম রাসেলের সাথে ৩ লাখ টাকা চুক্তি করেন। চুক্তির ৩ লাখ টাকা নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সবুজ আলীকে ইট ভাটায় রেখে সর্দার আনসার আলী অন্য শ্রমিকদের নিয়ে ইট ভাটার কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে ইট ভাটার মালিক খাইরুল আলম রাসেল টাকার জন্য সবুজ আলীকে ইট ভাটার ম্যানেজারের রুমে সবুজ আলীর পা'য়ে শিকলে বেধে নির্যাতন করেন এবং সর্দার আনসার আলীর কাছ থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে পুলিশ স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে সবুজ আলীকে উদ্ধার করে।
পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।