আলো ঝলমলে গ্রীন কজি কটেজ এখন পুড়ে অঙ্গার

, জাতীয়

রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-01 12:56:29

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রীন কজি কটেজ। ৭ তলা ভবনটিতে কাচ্চি ভাইসহ ছয়টি রেস্টুরেন্ট। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ভবনটি আলোতে ঝলমল করে ওঠে। কাচ্চি ভাইয়ের খাবারের সুনামে ভোজন প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। এছাড়াও নামি-দামি সব রেস্টুরেন্টের বিশেষ গ্রাহকও ছিল। সব মিলিয়ে সন্ধ্যার পর জমজমাট আড্ডার আসর হয় ভবনটিতে।

অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার উদযাপনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভোজন রসিকদের আগমেন কজি কটেজ উৎসবস্থলে পরিণত হয়েছিল। তবে রাত ১০টার দিকে ভবনটির নিচ তলার খাবারের দোকানের আগুনে মাত্র দুই ঘণ্টায় পুড়ে ছাই হয় পুরো ভবন। অকালে ঝরে যায় ৪৬ প্রাণ। আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে দগ্ধরা। আলোর ঝলকানিতে আনন্দ উল্লাসের খাবার স্থান নিমিষেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।

স্থানীয়দের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাত তলা ভবনটির পুরোটা জুড়েই ছিল খাবারের দোকান। দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্ট। এছাড়া তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরে সব নামি দামি খাবারের দোকান। ভবনটির রুফটপেও ছিল হাক্কা ঝাক্কা নামের একটি রেস্তোরাঁও।


ফেব্রুয়ারির শেষ দিন অর্থাৎ লিপ ইয়ার ঘিরে খাবারের দোকানগুলোতে চলছিল ধামাকা অফার। তাই অফার গ্রহণে মানুষের উপস্থিতিও ছিল বেশি। আর ধামাকা অফারের ভিড়েই পরিণত হলো ট্রাজেডিতে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত পৌনে ১০টায় ভবনটির নিচের খাবারের দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। তখনো উপরে তলায় চলছিল খাবার গ্রহণের মহোৎসব। কয়েক মিনিটেই আগুনের কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার নেমে আসে ভবনটিতে। নিচ তলায় আগুন হওয়ায় বেরোনোর সুযোগ পাননি কেউই।

ফলে ধোঁয়ায় নিশ্বাস নিতে না পেরে মারা গেছেন অনেকে। কেউ কেউ বাঁচার জন্য রুফটপে আশ্রয় নিলেও নারীদের বেশির ভাগেই রেহাই পাননি আগুন ও ধোঁয়ার তাণ্ডব থেকে।

এদিকে বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মধ্যে বেশির ভাগের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর