আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল নাজমুলের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় চার বন্ধু মিলে রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন নাজমুল হোসেন। হঠাৎ আগুন লাগলে সঙ্গে থাকা এক বন্ধু নিচে নামতে পারলেও পারেনি বাকি তিনজন। তার মধ্যে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও নাজমুলকে পাওয়া যাচ্ছে না। আহত এক বন্ধু শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে আহাজারি করে ছেলেকে খুজছিলেন নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, চার বন্ধু মিলে বেইলি রোডের গ্রীণ কোজি কটেজের তিন তলায় একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল নাজমুল হাসান। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটায় ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন নাজমুলসহ তার এক বন্ধু।
- মৃত বেড়ে ৪৬, দগ্ধ ১২ জনও শঙ্কামুক্ত নন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বেইলি রোডে আগুন: ভিকারুননিসার শিক্ষক ও তার মেয়ে নিহত
- যে ২৭ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেল
তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল নাজমুল। পড়তো কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে। ইচ্ছা ছিল ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবো। ভস্মীভূত হয়ে গেছে এমন দুইটা মরদেহ আছে, হয়তো তাদের মধ্যে একটা তার ছেলের মরদেহ হবে।
নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন গাজী বলেন, নাজমুল অনেক মেধাবি শিক্ষার্থী ছিল। আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিল। ভার্সিটি শেষ করে বিদেশে পাঠানোর স্বপ্ন ছিল দুলাভাইয়ের (নাজমুলের বাবা)। সব পুইড়া শেষ হইয়া গেল।