ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ফের সাঁটানো হয়েছে বেনামি পোস্টার। এটি নির্বাচনের দুইদিন আগে নগরজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানের জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে আঁকা এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে পোস্টারটি খুব বিখ্যাত। সেই পোস্টারে একটি নতুন শব্দ যুক্ত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীতে। সাঁটানো পোস্টারে লেখা রয়েছে এই রক্তখেকো জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে। কাকে উদ্দেশ্য করে, কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে এ প্রশ্ন সবার মুখে। তবে পুলিশ বলছে, যারা পোস্টার সাঁটিয়েছে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকেই নগরীর বাসিন্দারা আশপাশের দেয়ালে দেখতে পায় এমন রহস্যময় পোস্টার। স্থানীয়রা বলছেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি করতে সাঁটানো হয়েছে এই পোস্টার।
সাইদুল ইসলাম নামে এক দোকানী বলেন, আগামী শনিবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগমুহুর্তে নগরীতে ভীতিকর পোস্টার সাঁটানো উদ্দেশ্যমূলক। কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে তা কেউ জানে না। নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরির জন্য কেউ এমনটি করে থাকতে পারে।
সুজনের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, পোস্টারটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যুক্ত প্রকৃত পোস্টারটি বিকৃত করে এটি করা হয়েছে। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এটি করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কাউকে ইঙ্গিত করে এটি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কোনো ধরণের পোস্টার যখন বিভ্রান্তি ছড়ায় তখন সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন থাকে। যারা এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, কারা কী উদ্দেশ্যে এই পোস্টারগুলো সাঁটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
শনিবার (৯ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের চারজন ও জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল (লাঙল) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।