সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সদরে বাজারগ্রাম রহিমপুর মৌজায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন সাবেক আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শেখ হাবিবউল্লাহ। পৈত্রিক সূত্রে ৯৫ শতক, ক্রয়কৃত ৭ শতক মোট ১ একর ২ শতক জমি নিয়ে বাজারগ্রাম রহিমপুরে বসবাস করতেন তিনি। তবে সাবেক সরকারি কর্মকর্তার বসতভিটার জমি প্রভাব বিস্তার করে জবর দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে স্থানীয় আনিসুর রহমান।
স্থানীয় আনিসুর রহমান একই গ্রামের প্রতিবেশী। তিনি এলাকার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত। সে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধ, জমি দখল, মানুষকে মারধর, চাঁদাবাজি, করে এলাকায় মানুষের মাঝে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে ভোগ দখল করে খায়। তার নামে কালিগঞ্জ থানা ও সাতক্ষীরা আদালতে একাধিক চাঁদাবাজি, জমি দখল, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মামলা চলমান।
সাবেক আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শেখ হাবিবউল্লাহ বলেন, আমার বসতভিটার জমি প্রভাব বিস্তার করে হুমকি দিয়ে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে । স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কালিগজ্ঞ থানায় একাধিক বার বসাবসি হলে সমাধান হয়নি। সন্ত্রাসী আনিসুর স্থানীয় বিচার না মেনে জমি দখলের হুমকি চালায়। স্থানীয় পর্যায় বিচার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে সর্বশেষ বাদী হাবিবুউল্লাহ আদালতের দারস্থ হন। তিনি ১৬/১১/২৩ তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় ২৪০০/২৩ নং মামলা করেন। উক্ত মামলায় আদালত বারিত আদেশ মঞ্জুর করে কালিগঞ্জ সহকারী ভূমি কমিশনারের প্রতিবেদন ও যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক থাকায় গত ১৯/০২/২৪ বাদী পক্ষের রেকর্ডীয় ও দখলীয় ১একর ২ শতক জমি এসিল্যান্ড ও সার্ভায়ারের মাধ্যমে সীমনা চিহ্নিত করার আদেশ দেন। আদেশে কালিগঞ্জ থানা কে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। উক্ত আদেশ মোতাবেক কালিগঞ্জ সহকারী ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের সার্ভায়ার জমি বাদী বিবাদী উভয় পক্ষ নোটিশ করে সরজমিনে গত ০৮/০৩/২৪ তারিখে সীমনা চিহ্নিত করতে গেলে বিবাদী আনিসুর রহমান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সরকারি সার্ভায়ার ও বাদী কে হুমকি ও শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে। সাবেক আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শেখ হাবিবউল্লাহর আমিনের ব্যবহৃত ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। জমি কখনো মাপ হবে না আদালতে আাদেশ মানিনা বলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হুমকি প্রর্দশন করেন।
এ ঘনার পরে শেখ হাবিবউল্লাহ বলেন, আমি শেষ জীবনে এসে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি কিন্তু বিবাদী দীর্ঘদিন তার লোকজন দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে ও আমার জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি আইনের মাধ্যমে নায্য বিচার দাবি করছি।
বিবাদী আনিসুর ইসলামের কাছে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ও নাম্বার বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় কালিগঞ্জ ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিরাজ হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ পেয়ে আমি জমি চিহ্নত করতে গেলে বিবাদীদের বাধার সম্মুখীন হই। বিবাদীর পক্ষে ২০/২৫ জন লোক নিয়ে সরজমিনে উপস্থিত ছিল তাদের বাঁধার সম্মুখীন হয়ে কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারি নাই।