নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউপি উপনির্বাচনে বিজয় প্রার্থী ও পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। সমর্থকদের মিছিলে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের বটতলী পূর্ব খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো- বটতলী গ্রামের বাচ্চু মোল্লার ছেলে ইউপি সদস্য হারুন মোল্লা (৪২), তার ভাই লোকমান হোসেন (৪৬), আব্দুল মান্নানের ছেলে ইব্রাহিম (৭০), আতাউর রহমানের ছেলে মুক্তার হোসেন (৩৪), মহর আলীর ছেলে খোরশেদ (৫০), আনিছ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ (২২)। তারা বিজয়ী ইউপি সদস্য হারুন মোল্লার সমর্থক। এছাড়া পরাজিত প্রার্থী মো. নোয়াব মিয়ার (৫০) সমর্থক নজিবুল্লাহর ছেলে জামান মিয়া (২৮)।
ইউপি সদস্যসহ দুজন রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে। আহত মোক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ জানায়, শনিবার চর আড়ালিয়া ইউপি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মোল্লা টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নোয়াব মিয়া ফুটবল প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন। আজ দুপুরে বিজয়ী সদস্য হারুন মোল্লা তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি বিজয় মিছিল বের করেন। এ সময় পরাজিত প্রার্থী মো. নোয়াব মিয়া ও তার সমর্থক মোজাম্মেল, জামান, মিস্টারসহ ২০-৩০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, বল্লম নিয়ে তাদের মিছিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত ইউপি সদস্য হারুন মোল্লা জানান, সকালে সাধারণ ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পথে নোয়াব মিয়াসহ হত্যা মামলার আসামি মোজাম্মেল ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকেসহ ছয়জনকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত নোয়াব মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চর আড়ালিয়া ইউনিয়নে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে একটি ঘটনায় ৭/৮ জন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।