চার ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পরেও অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবা হক।
রোববার (১০ মার্চ) মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন- বার্তা২৪.কম এর জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সাহিদুর রহমান, ডেস্ক এডিটর নজরুল ইসলাম ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি রকিব হাসান নয়ন।
এর আগে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে নকশা বহির্ভূত অন্যের জমিতে সরকারি রাস্তা পাকাকরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার কার্যালয়ে যান ওই সাংবাদিকরা।
অফিস কক্ষে ইউএনও-কে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অফিসে এসে অন্য একটা প্রোগ্রামে যান ইউএনও মাহবুবা হক।
এ সময় সাংবাদিকরা অপেক্ষা করার পর বিকেল ৪টার দিকে ফের অফিসে এসে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অফিস থেকে বের হয়ে যান। তিনি চলে যাওয়ার সময় তার পেছন পেছন গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে কথা বলবেন বলে চলে যান।
অপেক্ষামান সাংবাদিকরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জমি সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউএনও এর কার্যালয়ে যাই। অফিসে গিয়ে জানতে পারি তিনি অফিসে নেই। দুপুর ২টা ২৭ মিনিট মোবাইল ফোনে ইউএনওকে কল করা হয়। এসময় তিনি বলেন, ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন, অপেক্ষা না করলে আগামীকাল সোমবার আসতে বলেন। পরে আমরা অপেক্ষা করার কথা বলি। এরপর তিনি বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অফিসে না গিয়ে সরাসরি একটি প্রোগ্রামে চলে যান। আমরাও সেই প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করি। এসময় তার সঙ্গে কোন কথা বলা যায়নি। প্রোগ্রাম শেষ করে ইউএনও তার অফিসে চলে আসেন। অফিসে ঢুকেই তিনি স্কাউট দলের সদস্যদের সাথে চা পান করেন আর কথা বলতে থাকেন। আমরা ইউএনও কক্ষের সামনে অপেক্ষা করতে থাকি। ইউএনওর এক কর্মচারীকে বলি আমরা সাংবাদিক ইউএনও এর সাথে কথা বলবো আপনি একটু বলেন বাহিরে অপেক্ষা করছি আমরা। এসময় ওই কর্মচারী ইউএনওর কক্ষে ঢুকেন। মিনিট কয়েক পরেই ইউএনও কক্ষ থেকে বের হয়ে চলে আসেন। তখর ইউএনওর পেছন পেছন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি আগামীকাল আসতে বলেন।
বার্তা২৪.কম এর ডেস্ক এডিটর নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকা থেকে এসেছি আমার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। আমি দুই জন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে ইউএনওর সাথে কথা বলতে যাই। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পরও কথা বলতে পারিনি।
আমার প্রশ্ন হল একজন গণমাধ্যম কর্মী হয়েও যদি এতক্ষণ অপেক্ষা করার পরও কথা বলতে না পারি, তাহলে সাধারণ মানুষের কতটা হয়রানি শিকার হতে হয়।