মেহেরপুরে কসাইদের হাতেই মাংসের দর নির্ধারণ !

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2024-03-13 12:21:59

মেহেরপুরে বেড়েই চলছে মাংসের দাম। গরু খাসির পাশাপাশি মুরগির দামও বেড়েছে। গেল এক সপ্তাহে কেজিতে গরুর মাংস ৫০ টাকা, খাসি ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা প্রশাসনের বেধে দেওয়া দর উপেক্ষা করেই মাংস বিক্রেতারা ইচ্ছেমত দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন। 

জানা গেছে, ছয় মাস আগে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যদিও এ দর নিয়ে ক্রতাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। রমজানের এক সপ্তাহ আগে থেকেই নির্ধারিত দরের চেয়ে হঠাৎ দর বৃদ্ধি শুরু হয় মাংসের বাজারে। বিশেষ করে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ টাকা থেকে এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫০ টাকা। একইসাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন তা ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সোনালি, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দর কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। একই সাথে দেশী মুরগির দর কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্রয়লার ২২০ টাকা, সোনালি ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গাংনীর শিশিরপাড়া গ্রামের শিক্ষক মতিয়ার রহমান বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে গাংনী বাজারে মাংস কিনতে আসেন।

মাংসের বাজারের লাগামহীন পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি সংবাদিকদের বলেন, 'প্রশাসন বাজার দর নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও তা মানা হয়না। কসাইরা তো প্রশাসনকে ভয় পায় না। প্রশাসন কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না তার কারণ অদৃশ্য। তাহলে সাধারণ ক্রেতারা প্রতিবাদ কিভাবে করবে ? পরিবারের জন্য প্রয়োজন তাই বাধ্য হয়ে মাংস কিনতে হচ্ছে।' 

ক্রেতারা জানান, গেল এক বছরে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৩০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিতে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অল্প আয়ের মানুষের কাছে গরু ও খাসির মাংস খাওয়া অনেকটাই স্বপ্নের মতই মনে হয়।

গাংনী বাজারের কসাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'শবে বরাত থেকে গরুর দাম বেড়েছে। আগের থেকে ৩০-৫০ হাজার টাকা বেশি দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। এ কারণে ৭৫০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।'  

জানা গেছে, জেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজারের মাংস বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমত দর বৃদ্ধি করে মাংস বিক্রি করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, রোগা ও অস্বাভাবিক পশু জবাই করেও সেই চড়া দরেই বিক্রি করছেন কসাইরা। ক্রেতাদের প্রতিবাদে কোন কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই বাড়তি দরেই কিনতে হচ্ছে এসব মাংস।

তবে এখন পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও দিতে চায়নি সংশ্লিষ্ট  কর্মকর্তারা। বাজার পর্যবেক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর