চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার ট্রলারে ইঞ্জিনে বিস্ফোরণে লাগা আগুনে দগ্ধ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে চমেক হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। নিহত জামাল উদ্দিন (৫২) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এর আগে, রোববার (৩১ মার্চ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহ আলম (৩৬) নামে দগ্ধ এক জেলে মারা যান।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম হাসান জানান, ট্রলারে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। আগুনে তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আরও চার জেলে চিকিৎসাধীন আছেন। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে পতেঙ্গা থানার ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে। এ ঘটনায় চার জেলে দগ্ধ এবং দুইজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ট্রলারে আগুন লাগার ঘটনায় নিখোঁজ আবদুল জলিল (৪০) নামে এক জেলের অর্ধগলিত মরদেহ কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।