ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে। এআই এর মতো প্রযুক্তির পজিটিভ ও নেগেটিভ দুই ধরণের প্রভাবই রয়েছে আমাদের জীবনে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বিটিআরসি সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) আয়োজিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়নের নিমিত্ত প্রারম্ভিক অংশীজন সংলাপের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত সহায়ক, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, প্রসেস ও প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মতো আমাদের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসংখ্য পজিটিভ ব্যবহার রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন পজিটিভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু পিছিয়ে নেই, আমরা Constitution GPT বা CGPT তৈরি করেছি যা আমাদের সংবিধান সম্পর্কে যেকোনো তথ্য ও প্রশ্নের অনুসন্ধান বা উত্তর দিতে সক্ষম। একইভাবে আমরা হেলথ জিপিটি, এডুকেশন জিপিটি, ইনভেস্টমেন্ট জিপিটি তৈরি করবো। কারন এআই, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি ও মাইক্রোচিপ ডিজাইন এর মত ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজিতে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে না পারলে আমাদেরকে পিছিয়ে পরতে হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের অনেক ঝুঁকি বা ক্ষতিকর প্রভাবও তৈরি হচ্ছে আমাদের জীবনে। ডীপ ফেক ভিডিও ও ভয়েস ক্লোনিং এর মতো অসংখ্য মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের এমন কিছু ইথিকাল ও মোরাল অসুবিধা রয়েছে যা আমাদের ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকির বিষয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যশোর শেখ হাসিনার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের একটি জরাজীর্ণ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা মূলত গুজব ও এআই দ্বারা তৈরিকৃত ছবি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উদ্ভাবন ও নিয়ন্ত্রণ (Innovation & Regulation), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই দুইটা দিক বিবেচনা করে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়ন করতে চাই; যাতে করে খারাপ দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আমরা এআই প্রযুক্তির পজিটিভ প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করে আমাদের জীবনকে আরও গতিশীল ও স্বয়ংক্রিয় করতে পারি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।