কটিয়াদীতে বনায়নে তীব্র গরমেও প্রশান্তির সুবাতাস

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ) | 2024-04-23 08:55:18

রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ। চারদিকে ছেয়ে আছে সবুজ ডালপালা। প্রায় অর্ধশত বছর হতে চলেছে এসব গাছের। রাস্তার দুইপাশে নদী থাকায় খোলা বাতাস সবসময়ই থাকে। পুরনো এসব গাছের শীতল ছায়া এখন পথিকদের দিচ্ছে শান্তির পরশ। শরীর শীতল করা এই ছায়ায় এসে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়। বৈশাখে দারুণ সৌন্দর্য দেখাচ্ছে গাছের সবুজ পাতা। বসন্তের শিমুল ফুলের সৌন্দর্যও দেখার মতো।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে এমনি মনোমুগ্ধকর বনায়ন রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই বনায়ন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকা কিছু অংশ স্পর্শ করেছে। বাকিটুকু জালালপুর ইউনিয়নের সীমানায়। প্রায় আধা কিলোমিটার স্বাধীনতার পর এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধ টেকসই করার জন্য তৎকালীন জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া গাছ লাগিয়ে বনায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্যোগী হন। এরপরে রেইনট্রি গাছের চারা রোপণ করা হয়। একসময় তা রূপ নেয় বনায়নে। বর্তমানে অযত্ন আর অবহেলা ও বেদখলে সরকারি অনেক গাছ মরে গেছে। কিছু আধমরা অবস্থায়। তবুও কিছু এখনো টিকে আছে যা আকৃষ্ট করার মতো।

পথচারী আসাদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, 'আমার বাড়ি পাশের পাকুন্দিয়া উপজেলাতে একসাথে এতো গাছ আগে দেখিনি কখনো। তীব্র দাবদাহে এখানে এসে শীতল ছায়া পেলাম। মন জুড়িয়ে গেলো। যখনই আসি একটু দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি।'

কয়েকজন রিকশাচালক জানান, 'যখনই এই রাস্তা দিয়ে যাই খুবই ছায়া পাই। মাঝে মধ্যে রিকশার মধ্যে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তীব্র এই গরমের মধ্যে এই জায়গাটা আমাদের জন্য আল্লাহর অশেষ রহমত।'

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর