তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে ফুটপাতের শরবত

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2024-04-23 11:39:04

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের যে কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। মেহেরপুরের প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের প্রতিদিনের রেকর্ড তা ই বলে দেয়। তীব্র তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। এতে গত কয়েকদিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান। যেখানে ফুটপাতের শরবতে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দেখা যায়, গরমে প্রাণ জুড়াতে ঠাণ্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ।  


মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সঙ্গে রাস্তাঘাটে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরবতের দোকান। ঠাণ্ডা পানি আর লেবু শরবতের পাশাপাশি কদর বেড়েছে আখের রসের। এসব শরবতের দোকানে সাময়িক প্রশান্তি খুঁজে নিচ্ছেন পথচারীরা।

তীব্র গরমের মধ্যে ঠাণ্ডা পানির শরবত পানে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা নিয়েও তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটছেন শরবতের দোকানে। তাই শরবতের চাহিদা আর কদর বেড়ে যাওয়ায প্রতিদিনিই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দোকান।

গরমে ঠাণ্ডা পানি ও শরবতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল আল মারুফ বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠাণ্ডা পানি, ফ্রিজের পানি, ঠাণ্ডা শরবত পান করার ফলে সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। রোদ থেকে ছায়ায় আসার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পানি পান করতে হবে।


তবে ঠাণ্ডা পানি নয় টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিলেন এই ডাক্তার।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন।

এদিকে তীব্র গরম আর প্রচন্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে ভারী কাজ করছেন অনেকে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কাজকর্মে ভাটা পড়েছে তীব্র গরমের কবলে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর