পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ নয়: হকার্স ইউনিয়ন 

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2024-05-05 13:41:32

পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে নির্বিচারে হকারদের উচ্ছেদ বন্ধ করে জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর সদরঘাট সংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান।

মনজুরুল আহসান খান বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানের হকারদের উপর নির্যাতন করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে গুলিস্তানে হকারদের উপর নির্যাতন করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন আবারও হকারদের উপর নির্যাতন চলছে। আমাদের হকারদের উপরে একবার আগুন জ্বালিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। আগুন দিয়ে হকারদের পুড়িয়ে ফেলেছে। তাদের দোকানে কোরআন শরীফ ছিল, অন্যান্য ধর্মীয় যেসব বই ছিল সেগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে। কাপড়-চোপড় জিনিসপত্র সবকিছু পুড়িয়ে ফেলে হকারদের নিঃস্ব করেছে। শেখ হাসিনার কাজ থেকে প্রত্যেক হকারের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ আদায় করেছি। 

এখন এই এলাকায় আবার হকার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা এই উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা যদি হকারদের উপর জুলুম করে তাহলে তাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে। এই এলাকার জন্য নতুন আইন হতে পারে না। এই এলাকায় হকার উচ্ছেদ করলে তার আগে বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর হকার উচ্ছেদ করা যাবে; অন্যথা হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। 

বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. ফিরোজ মোল্লা বলেন,  আমাদের ওপর এই জুলুম অত্যাচার আমরা সহ্য করব না। অবিলম্বে উচ্ছেদের আগে আমাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমরা কাজ করে ভাত খেতে চাই। 

সহ সভাপতি খান বাহাদুর বলেন, আমাদের হালাল রুজি খাওয়ার কাজে আপনারা অন্যায় অত্যাচার করেন। কোনো হকার যদি অন্যায়-অপরাধ করে তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবে সরকার। হালাল রুজির কোনো ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে হকাররা যদি অন্যায় অত্যাচারে জড়িত হয়ে যায় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যদি হকারদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, বংশাল থানা হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা সালাউদ্দীন, কোতোয়ালি থানার সভাপতি কায়ুম, সুত্রাপুর থানার সাধারণ সম্পাদক নাদিম, মহিলা সম্পাদিকা শাহিনা আক্তারসহ প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সদরঘাট এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর