চিকিৎসকের গাফিলতিতে হাসপাতাল কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী | 2024-05-12 15:29:49

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সৈকতকে ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. হানিফ (৫৫) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গত দুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হানিফ। আজ রোববার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেকজন ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আধা ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে।

নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে আমার বাবা মারা যান।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, সকালে হানিফকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। এরপর তাকে দ্রুত ওয়ার্ডে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর