চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ।

রোববার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন করছেন।

এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।

ঈদের দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করেন আবু ইয়াহিয়া জাকারিয়া মাদানী।

জেলার হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফ, উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ আরও বেশ কয়েকটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে শামিল হয়েছেন।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পিরজাদা আবু ইয়াহিয়া মো. জাকারিয়া আল মাদানি বলেন, মরহুম মাওলানা ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্‌যাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারায় দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারী এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষ। তাই রোববার সেখানে পশু কোরবানি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিশ্বের অন্যদেশগুলোতেও একই দিনে ঈদ উদযাপন করা হবে।

   

বিদেশি নাগরিকেরা ১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে ১৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয়সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই।

কোনো সূত্রের উল্লেখ না করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে ১শ ৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

কোন দেশের নাগরিকেরা কত ডলার নিয়েছেন, সে তথ্য জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের নাগরিকেরা ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীনের নাগরিকেরা ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার নাগরিকেরা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানের নাগরিকেরা ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ার নাগরিকেরা ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের নাগরিকেরা ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের নাগরিকেরা ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ার নাগরিকেরা ২.৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে, তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি।

অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

;

বিয়ে করে সর্বস্বান্ত হওয়া জল্লাদ শাহজাহানের গল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহজাহান ভূঁইয়া/ছবি: সংগৃহীত

শাহজাহান ভূঁইয়া/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৩২ বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়ে আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া সাথী আক্তার ফাতেমা (২৩) নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তার সেই সুখের সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর সাথী আক্তারকে বিয়ের ৫৩ দিনের মাথায় তার সংসার ভেঙে যায়। ওই সময় আদালতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলাও দেন সাথী। পরে পাল্টা ওই তরুণী এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলা করেন শাহজাহান। মামলায় তিনি বলেন, ওই তরুণী ও তার মা বিয়ের ফাঁদে ফেলে তার (শাহজাহান) কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তরুণীর মামা।

বিয়ে করে সর্বস্বান্ত হওয়ার পর কারাগারের বাইরে জীবন এত জটিল কেন– এমন প্রশ্ন করেছিলেন আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান।

শাহজাহান বলেছিলেন, আমার মা-বাবা নেই, দায়িত্ব নেওয়ার মতো ভাইবোন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ, আমার থাকার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। আমি চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছি। আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই। আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগানদাতা নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই। ৩২ বছর কারাভোগ শেষ করে এসে আমি এখন বাইরের মানুষদের বুঝতে পারছি না। যেখানেই যাচ্ছি প্রতারণার খপ্পরে পড়ছি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে সেখানেও সর্বস্বান্ত হয়েছি। বিয়ের কাবিন পাঁচ লাখ টাকা হলেও আমার কাছে থাকা ১০ লাখ টাকা স্ট্যাম্পে লিখিত নিয়ে ৫৩ দিনের মাথায় আমার স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা (২৩) পালিয়ে গেছে। আমার নামে যৌতুকের মামলা দিয়েছে। আমি থানায় মামলা দিতে গেলেও বউয়ের নামে মামলা করা যায় না বলে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। পরে আইনজীবীর সহযোগিতায় রোববার আদালতে আমার স্ত্রী, শাশুড়িসহ ছয়জনের নামে মামলা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ১৮ জুন কারামুক্তির পর আমি ঢাকার কেরানীগঞ্জের গোলামবাজারে বসবাস শুরু করি। এরপর সেখানে একটি চায়ের দোকান দিয়ে কোনো মতে দিন যাপন করার চেষ্টা করি। একদিন অটোরিকশায় কদমতলী থেকে কোনাখালায় যাওয়ার সময় গাড়ির ভেতর একটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাই। ব্যাগের ভেতর থাকা কাগজে লেখা ছিল একটি মোবাইল ফোন নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করে ব্যাগের মালিককে তা নিয়ে যেতে বলি। পরে ব্যাগের মালিক সাথী আক্তার ফাতেমা বান্ধবীকে নিয়ে গোলামবাজারে হাজির হয়। এরপরে মেয়েটির মা শাহিনূর বেগমের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনে মেয়েটির সঙ্গে আমি বেশ কয়েকবার কথা বলি। একপর্যায়ে মেয়েটি ও তার মা জুরাইন থেকে গোলামবাজারে চলে আসে। আমার বাসায় তিনি রান্নার কাজ নেন। পরিচয়ের দেড় মাস পর ২১ ডিসেম্বর মেয়েটির সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে আমার বিয়ে হয়। মেয়ে ও তার মা বিয়ের আগে নানা কৌশলে আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেয়। আর বিয়ের দিন একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে আমার গোছানো আরও ১০ লাখ টাকা নেয়। বিয়ের প্রায় দুই মাসের মাথায় আমার স্ত্রী বাসায় থাকা আরও সাত লাখ টাকা ও গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে থানা নেয়নি। পরে জানতে পারি ১৫ ফেব্র“য়ারি সাথী আমার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মহিউদ্দীন, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা, মাওলানা নিজামী, কামরুজ্জামানসহ ৪০ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছি। আমাকে ছোট ব্যবসায়ের পুঁজি ও একটি থাকার জায়গা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

১৯৭৯ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ৩৬টি মামলায় শাহজাহান ভূঁইয়ার ১৪৩ বছরের সাজা হয়। পরে ৮৭ বছর জেল মাফ করে তাকে ৫৬ বছরের জন্য সাজা দেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর ও সশ্রম কারাদণ্ডের সুবিধার কারণে সেই সাজা ৪৩ বছরে এসে নামে। দুইটি মামলায় ৫০০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে অতিরিক্ত এক বছর জেল খেটে ৩১ বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পান জল্লাদ শাহজাহান।

ছাত্রজীবনে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া শাহজাহান অপরাধ জগতে ঢুকতেও বেশি সময় নেননি। ডাকাতি ও খুনের মতো ভয়ংকর সব অপরাধ করার পর ১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি প্রথম গ্রেফতার হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে আসেন। এরপর দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ৪২ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। কারাগারে তার কয়েদি নম্বর ছিল ২৫৮৯/এ। সাজা কমাতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জল্লাদ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। এরপর সহযোগী হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে জল্লাদ জীবন শুরু করেন তিনি। এক সময় মানিকগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় শাহজাহানকে। সেখানে তাকে প্রধান জল্লাদের আসন দেওয়া হয়।

কারাগারের নথি অনুযায়ী, ‘জল্লাদ’ শাহজাহান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় ঘাতক (বজলুল হুদা, মুহিউদ্দিন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মহিউদ্দিন আহমেদ, আবদুল মাজেদ), চার যুদ্ধাপরাধী (জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাসেম আলী), কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি মনির ও ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেন।

;

নীলফামারীতে নদীতে গোসল করতে নেমে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে রানা বাবু (১২) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) শহরের সাইফোন চারালকাটা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত কিশোর বন্ধুদের সাথে নদীতে গোসল করছিলেন। এ সময়ে সে পানিতে ডুবে যায়। পরে বন্ধুরা চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ডুবরি দল এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস অভিযান চালিয়ে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারে অবস্থিত একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসার কারণে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর পর জানাজানি হলে ক্লিনিকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে ক্লিনিক কতৃপক্ষ।

সোমবার (২৪ জুন) সকালের দিকে রুপদিয়া বাজারের মুনসেফপুর মোড়ে গ্রামীণ ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত প্রসূতি রিমা বেগম (২৫) নরেন্দ্রপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

স্থানীয় একটি সুত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ক্লিনিকের দালাল চক্রের সদস্য নরেন্দ্রপুর গ্রামের এক নারী ১২শ' টাকার বিনিময়ে রিমা বেগমকে কৌশলে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করে।

রিমা বেগমের পরিবার জানায়, সকাল ৮টার দিকে রিমা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে গ্রামীন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সাড়ে ৮টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনে রিমা বেগম একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। প্রসব পরবর্তীকালেই রিমা বেগমের মৃত্যু হয়।

ওই ক্লিনিকের ডাক্তার নুরছালী তুলি নামে একজন চিকিৎসক রিমা বেগম এর সিজারিয়ান অপারেশন করেন বলে তার পরিবার জানায়।

রিমা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে রিমা খাতুন সিজার করার সময় মারা গেছেন। সিজারিয়ান অপারেশনের পরে রিমা বেগম বেঁচে আছে বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভুল বুঝিয়ে ক্লিনিকে তালা মেরে দেয় এবং খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরবর্তীতে এ বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই ক্লিনিকের সামনে একত্রিত হয়।

এ বিষয়ে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিহির মন্ডল বলেন, প্রসূতির মৃত্যুর পর স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের লোকজন গ্রামীন ক্লিনিক ঘেরাও করে। এ সময় ক্লিনিকের লোকজন তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ভাংচুর করতে গেলে পুলিশের একটি টিম নিয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।

তিনি বলেন, পরিবার যেহেতু ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ করছে সেহেতু লাশ উদ্ধার করে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

;