ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উঁচু জোয়ারের চাপে বরগুনা সদর ও আমতলী উপজেলার পায়রা ও বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে আমতলী উপজেলার আড়পাংগাশিয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া এলাকায় তিনটি ও সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা এলাকায় দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
পশরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল সিকদার বলেন, আগে থেকেই আমাদের এখানের বেড়িবাঁধ নাজুক ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে বেড়িবাঁধ ভিজে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে আমাদের এখানে উত্তর ডালভাঙ্গা এবং মাছখালি গ্রাম গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
মাছখালী গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, দিনের জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে রাতের জোয়ার নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। কারণ রাতে যখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে, এরপর পানি আরও বৃদ্ধি পাবে। আমাদের এখানে আশ্রয়কেন্দ্রও নেই, তাই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, আগে থেকেই বরগুনার পাঁচটি স্থান থেকে দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই ভেঙে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ আমরা মেরামত করবো।