মহাবিপদের বার্তা নিয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না।
মোংলা উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান গিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা গেছে।
রোববার (২৬ মে) রাতে বার্তা ২৪.কমের বাগেরহাট প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম দুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মোংলা অঞ্চলে সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস কম থাকলেও রাত ১০টার পর প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। রাত ১০টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলাতে আঘাত হানতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা যায়। সেখানে তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইলা ও সিডরের মতো ঘূর্ণিঝড় রিমাল তেমন শক্তিশালী নয়। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৭ কিংবা ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হলেও মানুষের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।
এর হিসেবে তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সবসময় ঝড়-তুফানের সাথে যুদ্ধ করে বেচে থাকে। অপরদিকে বিপদ সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব না পড়ার কারণে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।