তিন বছর ধরে সোনার চেইনের মালিক খুঁজছেন জোসেপ

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোনো এক সকালের কথা। বাসা থেকে বের হয়ে সড়কে উঠতেই পায়ের নিচে পড়ে একটি সোনার চেইন। আর তা কুড়িয়ে নিয়ে মালিকের সন্ধান করেও পাননি। এ অবস্থায় বেকায়দায় পড়ে জোসেপ পাড় করেছেন প্রায় তিন বছর।

নিজের ফেসবুক আইডি ছাড়াও বন্ধু ও এলাকার ফেসবুক গ্রুপে উপযুক্ত মালিকের সন্ধান চেয়েও এখনো পাননি। আর কবে পাবেন প্রকৃত মালিক তা নিয়ে দিনপার করছেন এই যুবক।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার দত্তপাড়া নতুন বাজার মহল্লার মৃত ইসলাম উদ্দিন সরকারের ছেলে মো. আতারুল হাবিব জোসেপ স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোনো একদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। ওই সময় কিছুদূর যেতেই পায়ের নিচে পড়ে একটি চেইন। আশপাশ খোঁজ করেও কারও সন্ধান করতে পারেননি। ওই সময় তিনি চেইনটি সোনার কিনা যাচাই করতে বাজারের একটি জুয়েলার্সের দোকানে যান। যাচাইকালে জানতে পারেন এটি বিদেশি খাঁটি সোনার চেইন। যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৭০ হাজার টাকা।

বিষয়টি নিয়ে তিনি ওই সময় থেকে বিভিন্নভাবে প্রচার চালিয়ে বেশ কয়েকজনের সন্ধান পান। তবে সঠিক প্রমাণ না পাওয়ায় কাউকে দিতে পারেননি। এরপর থেকে নানা ব্যক্তি তার কাছে এসে চেইনের মালিক বললেও প্রমাণ করতে না পারায় সকলেই ব্যর্থ হয়ে চলে যান।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জোসেপ জানান, কুড়িয়ে পাওয়ার সময় থেকেই তিনি প্রচার চালানো অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ছাড়াও বিভিন্ন আইডির গ্রুপে ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের আইডিতে চেইনের প্রকৃত মালিকের খোঁজ নিতে নিজের মোবাইল নম্বর দিচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সঠিক প্রমাণ দিয়ে কেউ চেইনের মালিক হতে পারেননি।

তিনি বলেন, এই চেইন নিয়ে আমি বেকায়দায় পড়েছি। গত কয়েক বছরে কমপক্ষে ৩০ জন নারী-পুরুষ মানি রশিদসহ বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে এসেছেন চেইন নিতে। কিন্তু চেইনের ওজন ও ধরনের সাথে মিল না থাকায় দেওয়া যাচ্ছে না। এই চেইনটি একটি ব্যতিক্রম চেইন। যার মধ্যে অন্য চেইন থেকে বেশ কয়েকটি আলাদা হুক রয়েছে। ওই হুকগুলির মিল পাওয়া ছাড়াও হারানো স্থানের সাথে মিল থাকলেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের লোকজনের সামনে চেইন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, চেইনটি দানও করতে পাড়ছেন না। কারণ স্থানীয় একটি মাদরাসার হজুর বলেছেন যেহেতু তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে ফেলেছেন। তাই প্রকৃত মালিক কখনো পাওয়া গেলে তখন ওই চেইনের মূল্য পরিশোধ করতে হতে পারে। এজন্য প্রকৃত মালিকের সন্ধান চালিয়ে যেতে হবে।