সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'। রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর তাণ্ডব সোমবার সকালে শক্তি হারিয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। একইসাথে গতিপথ পরিবর্তন করে এটি উত্তর পূর্ব দিকে আসামের দিকে চলে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার (২৭ মে) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশঃ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) পুনঃ ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) পুনঃ ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে আগামীকাল সকাল (২৮মে ২০২৪) পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল কিছুটা দুর্বল হলেও সারাদেশে বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এ সময় আরও বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ছিল ১১১ কিলোমিটার। তবে সবচেয়ে বেশি বাতাসের গতিবেগ ছিল ক্ষেপুপাড়া।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকায় ভোর ৬টা পর্যন্ত ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। শুধু মাত্র রংপুরের কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়নি।
এছাড়া ঢাকায় দুপুর তিনটায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র অতিক্রম করবে। এ কারণে আজকে সারাদিন ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।