‘কিশোররাই হবে কিশোর গ্যাংয়ের বিপরীতে আরেকটি শক্তি’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-06-06 15:18:20

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, কিশোররাই হবে কিশোর গ্যাংয়ের বিপরীতে আরেকটি শক্তি। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ডিএমপি এবং জাইকার (JICA) উদ্যোগে পরিচালিত ডিআরএসপি প্রজেক্টের "রোড সেফটি পোস্টার এন্ড স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪" এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়াও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। কিশোর গ্যাং নির্মূলে সামাজিকভাবে সচেতনতা ও মাদকের বিরুদ্ধেও সচেতনতা তৈরিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা পোস্টার, স্লোগান কম্পিটিশন করেছি। যারা এতে অংশগ্রহণ করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রধান শিক্ষক, প্রিন্সিপাল তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এই প্রজেক্ট ঢাকা বাসী ও ডিএমপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি। এজন্য জাইকা অথরিটি এবং জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানায়।

কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকাল পত্র পত্রিকার পাতায় নিয়মিত কিশোর গ্যাংয়ের খবর আমরা দেখতে পাই। কিশোর কোনো গ্যাং না। কিন্তু কয়েকজন কিশোর মিলে যখন সংঘবদ্ধভাবে একটি খারাপ কাজে লিপ্ত হয় সেটা কিশোর গ্যাং। 

এছাড়াও সড়কে যানযট নিয়ে তিনি বলেন, রাস্তা ঘাটে প্রতিদিন আইন অমান্য করার প্রতিযোগিতা দেখা যায়। শিক্ষিত লোক অশিক্ষিত লোক সবার মধ্যেই আইন অমান্য করার প্রতিযোগিতা দেখা যায়। তাই আমাদের ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম দুর্ঘটনা দেখা যায়।

জ্যামের কারণে অনেক সময় রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুল্যান্সেও রাস্তায় আটকে থাকতে দেখা যায়। জ্যামে আটকে থেকে অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীরা মারা যাচ্ছে। অথচ দশ মিনিট আগে যদি সেই রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো যেতো তাহলে অনেক রোগীকেও বাচানো সম্ভব।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১৮ সালে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আবরার নামের এক ছাত্রের মৃত্যুতে সব শিক্ষার্থীরা যেভাবে সাধারণ মানুষকে এমনকি পুলিশকেও তারা আইন মানাতে বাধ্য করেছিলো। তা সত্যি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে আইন অমান্য না করেও কিভাবে সড়কে যানবাহন চালানো সম্ভব।

তিনি বলেন, পরিবার থেকেই আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আইন অমান্য করে নিজের এবং অন্য আরেকজনের জীবন যেন ঝুঁকিতে না পড়ে।

কনটেস্টে ২৩৮ টি ছবি থেকে ১০ টি ছবিকে পুরস্কার দেয়া হয়। এতে প্রথম স্থান অর্জন করে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী হালিমা তুন সাদিয়া। এতে প্রত্যেক বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর