সিলেটে বৃষ্টি থেমে রোদের ঝলকানি, নামছে পানি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট  | 2024-06-21 12:33:33

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় ধাপে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় সিলেট। টানা ৫ দিনের প্লাবনের পর থেমেছে বৃষ্টি, সিলেটের আকাশে দেখা মিলেছে রোদের। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর থেকেই বৃষ্টিহীন আকাশ দেখছেন সিলেটবাসী। 

শুক্রবার (২১ জুন) সিলেটের পুরো আকাশই রৌদ্রজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সারাদিনও এমন চিত্র দেখা যায়। রাতেও বৃষ্টি না হওয়ায় উঁচুস্থান থেকে পানি নেমে গেছে। ফলে ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্য ভূমি সিলেটে কমেছে বন্যার পানি। তবে বন্যার পানিতে ধুঁকছে বিভিন্ন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। 

শুক্রবার সকাল ১২ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিলেটে রোদ ছিল।

এই দিন সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আগে থেকে অনেকটা কমেছে পানি।

শুধুমাত্র ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর পানি  ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় গতকাল সন্ধ্যার হিসেব অনুযায়ী পানি কমেছে কয়েক সেন্টিমিটার।

শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, অমলশিদ পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ০৫ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০৩ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

বৃহস্পতিবার কানাইঘাট পয়েন্টে বিকাল ৩ টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬ টায় ছিল ৭৪ সেন্টিমিটার।

সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিকাল ৩ টায় বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬ টায় ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিকাল ৩ টায় ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬ টায় তা বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি সকাল ৬ টায় ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকাল ৩টায় তা বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শুধু ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল ১০২ সেন্টিমিটার।

এদিকে আজ সকালে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২০ মিলিমিটার। আজ সকালেও কোনো বৃষ্টিপাত হয় নি। গতকাল দুপুর থেকে বন্ধ হয়েছে বৃষ্টি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর