পানিবন্দি মুজিবপল্লীর ১০০ পরিবার

, জাতীয়

রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম | 2024-06-22 11:39:27

সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে লালপুর বাজারের অদূরে অসহায় গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১৪৭ টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ৬ মাস আগে সেখানে ঠাঁই হয়েছিল ১০০ পরিবারের। ঠাঁই নেওয়া অধিকাংশ পরিবারেরই কর্মক্ষম ব্যক্তি একজন, যাদের বেশিরভাগই দিনমজুর। প্রতিদিনই পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয় এখানকার মানুষকে। তবে সুনামগঞ্জের আকস্মিক বন্যায় বিপাকে পড়েছেন মুজিবপল্লীর বাসিন্দারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে রাস্তা না থাকায় বন্যার কবলে পড়া এখানকার হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা। এতে ঝুঁকির মুখে মুজিবপল্লীর বাসিন্দারা।

এদিকে বৃষ্টিপাত বাড়লেই পানি উঠছে আশ্রয়ণের ঘরে। নির্মাণের ছয় মাসেই ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ার অভিযোগও করছে বসবাসকারীরা। পানিবন্দি হওয়ার কারণে শিশুদের নিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।

ঝুঁকির মুখে মুজিব পল্লির বাসিন্দারা

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘরে উঠার আগেই রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া মুজিবপল্লীর শিশুদের জন্য করা হয়নি শিক্ষার ব্যবস্থা। মসজিদ কিংবা মন্দিরও নেই সেখানে। এতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

আব্দুল মালেক নামের এক বাসিন্দা বলেন, উদ্বোধনের সময় বলছে ৬ মাসে রাস্তা হবে। তা এখনো করে নি। অল্প বৃষ্টিতে আমাদের ঘরে পানি উঠছে। চাল দিয়ে পানি পড়ছে। ড্রেন না থাকায় পানি নেমে যেতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা দ্রুত সংযোগ সড়ক চাই।

পৌলমি দাস নামের এক নারী বাসিন্দা বলেন, আমাদের বাচ্চাদের জন্য কোন স্কুল নেই। এখানে নৌকা দিয়ে যাইতে হচ্ছে। এভাবে তো যাওয়া সম্ভব না। বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে আছি। চারদিকে পানি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তা থাকলে এই ভোগান্তি হতো না।

অল্প বৃষ্টিতে ঘরে পানি উঠে

সুলতান ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, আমাদের যে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা সেটা দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তা নাই, ড্রেন নাই, অথৈ দরিয়ায় আমাদের ফেলে রেখে গেছে। পারছি না বের হতে। যেতে হলে নৌকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। কাজে যেতে দেরি হচ্ছে। মূলত এখানে অনিয়ম ঘটে অনেক।

তবে সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বলছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সব কাজ করা হয়েছে। এল জিইডির অনুমোদন না থাকায় সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর