তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে যা বললেন নরেন্দ্র মোদি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-06-22 16:45:52

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনার জন্য শিগগিরিই একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে।

শনিবার (২২ জুন) নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সামনে এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদি বলেন, সমুদ্র সহযোগিতার মাধ্যমে নীল অর্থনীতির পথে এক সঙ্গে চলবে দুই দেশ।

আঞ্চলিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তায় এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আগামী দিনে নয়াদিল্লি-ঢাকা মৈত্রী আরও নিবিড় করবে বলে মনে করছেন কূটনীতি বিশারদদের একাংশ।

যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রপ্রধান জানান, ভারত এবং বাংলাদেশ একটি সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন-সঙ্গী। তাদের স্বার্থকে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা, রেল যোগাযোগ এবং পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে শনিবারের বৈঠকে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে ‘সবুজ অংশীদারিত্ব’ নিয়েও।

নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার (২১ জুন) শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদল দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছায়। শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা কর্মসূচি। সেখানে শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অশ্বারোহী দেহরক্ষী বাহিনী ভবনের বাইরের ফটক থেকে হাসিনার কনভয়কে নিয়ে যায় ভিতরে। এরপর ভারতীয় সেনার তিন শাখার তরফে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক ‘গার্ড অব অনার’। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে শেখ হাসিনা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এর পরে হায়দরাবাদ হাউসে মোদি-হাসিনার বৈঠক হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর