পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারও একটি ৮ ফুট লম্বা মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে। এর পুরো মাথার অংশে আঘাতের চিহ্নসহ চামড়া উঠানো ছিলো।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে কুয়াকাটা সৈকতের পূর্ব দিকে ঝাউবন পয়েন্টে ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় যুবক জুয়েল রানা। তিনি ডলফিন রক্ষা কমিটির একজন সদস্য। এর আগে গত ১৬ জুন আন্ধারমানিক মোহনায় এসেছিল জীবিত স্টেনেলা অ্যাটেনুয়াটা প্রজাতির ডলফিন।
ডলফিনটিকে দেখতে পাওয়া জুয়েল জানান, বিকেলে সৈকত থেকে পূর্বদিকে ঝাউবনের দিকে যাচ্ছিলাম এসময় ডলফিনটি জোয়ারের সাথে তীরে আসতেছিল। তবে এটি মারা গেছে বেশিক্ষণ হয়নি মনে হয়। বিগত দিনের অভিজ্ঞতা বলছে এটির মৃত্যু হয়েছে ১২-১৫ ঘন্টা আগে।
উপকূল জুড়ে ডলফিন নিয়ে কাজ করা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যদের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চলতি বছরে জীবিত ও মৃত্যু মিলিয়ে ১০টি ডলফিনের দেখা মিলেছে এবং এর আগে ২৩ সালে ১৫টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২) বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবৎ যে পরিমাণ জীবিত ও মৃত্যু ডলফিন আসছে তাতে মনে হচ্ছে সমুদ্র তার আগের পরিবেশ হারাচ্ছে। বর্তমানে জেলেরাও নেই সমুদ্রে। তবে আমরা এদের মৃত্যুর কারন অনুসন্ধানে কাজ করছি।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উপকূলের নিকটে ও নদী মোহনাতে এবং নদীতে এদের বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখা যায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পরিদর্শন শেষে আমরা বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সদস্যদের খবর দিয়েছি।। আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারনগুলো বের করা হয়।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে শুনেছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করছি যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।