মানুষ খুব কষ্টে থাকলেও বলতে পারছে না: বিচারপতি আব্দুর রউফ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-06-29 15:54:52

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেছেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ খুবই কষ্টে আছে, কিন্তু বলতে পারছে না।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গভর্নেন্স অ্যান্ড পলিসি রিসার্চের (জিপিআর) উদ্যোগে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ বলেন, মহান রাব্বুল আলামিন মানুষকে কর্তব্য দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন কিন্তু আমরা সেই কর্তব্য পালন করছি না। মানুষের বিবেক আজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিগত ৫০ বছর ধরে এই দেশের বিরুদ্ধে ভারত ষড়যন্ত্র করে চলেছে। বাংলাদেশকে আজ খ্রিস্টান রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। ভারত, চীন এবং আমেরিকাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমরা যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলাম বা এখনো আছি আমরা ব্যক্তির স্বার্থে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছি। আমরা শিক্ষা ধ্বংস করেছি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়েছি, দুর্নীতিকে আকড়ে ধরেছি যার ফলে সমাজে এতো বিশৃঙ্খলা।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মশিউল আলম বলেন, অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে আমরা প্রতিষ্ঠা করি লাল সবুজের বাংলাদেশ। অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র লিখা হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর তাদের কার্যকর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিধিদের প্রতি তাদের মেন্ডেড দিবে কিন্তু জনগণের সেই অধিকার কে হরণ করা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও 'সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার' প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা আমরা এখন আত্মঘাতী খেলায় মত্ত হয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি শুধু ব্যক্তি স্বার্থের জন্য।

তিনি বলেন, যে দেশ জনগণের সেই জনগণকে আজ অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে। এই দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই, তাই দেশের মানুষকে আহবান করব আপনারা রাস্তায় নামুন নিজেদের অধিকার নিজেরাই ফিরিয়ে আনুন।

সাবেক রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুর রব বলেন, আজ দেশের মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে পারে না। সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছে না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছে পানি দেবে না, অথচ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছে আমরা ভারতকে সব দিয়ে দিয়েছি। প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে দশ বিলিয়ন ডলার ভারতে যাচ্ছে আমরা যেমন বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনি ভারত বাংলাদেশ থেকে রেমিটেন্স নিচ্ছে। বাংলাদেশে আজকে যে গণতন্ত্রের কথা বলবে, মানুষের অধিকারের কথা বলবে তাকেই কণ্ঠরোধ করে দেওয়া হচ্ছে।

কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, আমি যখন বিডিআরে কর্মরত ছিলাম তখন তো সীমান্তে এতো হত্যাকাণ্ড হয়নি। তাহলে এখন কেন হয় তার একটাই কারণ বর্তমান সরকার দেশদ্রোহী এই সরকার ভারতের সরকার, ভারত যা করতে বলছে সরকার তাই করছে। ভারত যে অবৈধ চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সাথে করেছে এগুলো তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে ভারত রেলপথ, স্থলপথে যে চলাচলের জন্য চুক্তি করেছে এগুলো দেশের জনগণকে প্রতিহত করতে হবে তা না হলে এই দেশ আমরা রক্ষা করতে পারবো না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর