বরগুনার তালতলীতে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বন থেকে চুরি করে কেটে নেয়া ৪টি কেওড়া গাছ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার পরও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।
শনিবার (২৯ জুন) বিকালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় গাছগুলো উদ্ধার করা হয়। গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয়া এবং বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জেলে মো. বেল্লাল কোনো অনুমতি ছাড়াই সরকারি সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনের গাছগুলো বিভিন্ন সময় চুরি করে কেটে নিচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বন বিভাগ কেটে ফেলা ৪টি কেওড়া গাছ উদ্ধার করে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত মো. বেল্লালের বাড়ির পাশে একটি খালে দুটি গাছ ফেলে রেখেছে আর বাকি দুটি গাছ কেটে সাইজ করছে এ সময় বন বিভাগের লোকজনকে ওই গাছ উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. জাহিদের কাছে গাছগুলো জিম্মা দেওয়া হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন বলেন, বেলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় টেংরাগিরি বনের বড় বড় চারটি কেওড়া গাছ কেটে সাইজ করছে। পরে বিষয়টা স্থানীয় বন বিভাগের কাছে বললে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। আমরা স্থানীয় লোকজন বিষয়টা দেখেছি। এভাবে বনের গাছ কাটলে শীঘ্রই উজার হয়ে যাবে টেংরাগিরি বনের গাছ।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাহিদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বনের চার পিস গাছ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন আমার কাছে গাছগুলো জিম্মা দিয়েছে। বনের গাছ কাটা একটি অপরাধ বন বিভাগের লোকজনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, বেল্লাল একজন জেলে মাছ ধরার ফাঁকে ফাঁকে সে বনের গাছ লুটপাট করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনদিন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি সব জায়গা থেকে ছুটে যান। এছাড়া স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে দিন দিন বনের গাছ লুটপাট হচ্ছে।
তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিষয়টা আমি অবগত হয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বন বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।