অফিস শেষে এমনিতেই যানজটে ডুবে থাকে রাজধানী ঢাকার মূল মূল সড়কগুলো। তার সঙ্গে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রত্যাহারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে নগরীর সড়কে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে শাহবাগসহ সড়কগুলো থেকে সরে যান আন্দোলত শিক্ষার্থীরা। তারপরেই নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে ওঠে।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শাহবাগসহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শেষে সরে যান কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে ভোগান্তি বেড়ে যায় ঢাকা নগরবাসীর। যানজটে আটকা থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা। শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে সে ভোগান্তি যেন আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায় বিভিন্ন সড়কে আটকা পড়ে থাকা যানগুলো চলাচল শুরু করলে।
এর আগে সোমবার বিকেল থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবির হয়ে যায় পুরো রাজধানী। এসময় অফিস শেষে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। অনেকে অফিস শেষ করে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজারও শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন।
তাদের অবস্থানের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সায়েন্সল্যাব, মিরপুর সড়ক, মিন্টুরোড, ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, মতিঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে অফিস শেষ করে নগরবাসী যখন গন্তব্যে ফিরবেন তখনই ব্যাপক জনদুর্ভোগ দেখা দেয়।