সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) হত্যা নয়, প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল সোহাগের। প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাদিক মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, সোহাগ মিয়া ওরফে সুমেল মিয়া চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এক মোবাইলফোন বার্তায় জানান, ‘ব্যারিস্টার সুমনের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তাকে হত্যা করা হতে পারে।’ মূলত সে একজন প্রতারক। হুমকির মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তার। সোহাগ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হিংগাজিয়া গ্রামের মন্তাজ মিয়ার ছেলে।
এর আগে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগে গত ২৯ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সায়েদুল হক। তিনি উল্লেখ করেন, চুনারুঘাট থানার ওসির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, তাকে হত্যা করার জন্য চার থেকে পাঁচজনের অজ্ঞাতনামা একটি দল মাঠে নেমেছে। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ ঘটনায় ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সমন্বয়ে পুলিশের একাধিক টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সোহাগকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি।