যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর সন্ন্যাসী বটতলা এলাকার মাটিতে পুঁতে রাখা সোনাবানু (৪০) নামে এক বিধবা নারীর লাশ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১২জুলাই) দুপুর ফতেপুর গ্রামের সন্ন্যাসী বটতলায় সাত্তার মোল্লার বাগানের ভিতরে মাটি চাপা থাকা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোনা বানু ফতেপুর গ্রামের মৃত আলতাফ মোল্লার দ্বিতীয় স্ত্রী। এদিকে, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে সোনা বানুকে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে তার আপন ছেলে। ছেলে আরিফ হোসেন ও তার স্ত্রী ইভাসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতয়ালী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
নিহত নারীর স্বজনরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সোনাবানু। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আজ শুক্রবার দুপুরে নিহতের বাড়ির কিছু দূরে একটি বাগানের ভিতর ছড়ানো ছিটানো মাটি দেখতে পান স্বজনরা। এরপর পুলিশ এসে মাটি খুড়ে একটি ছোট গর্ত থেকে সোনাবানুর মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহের গলায় ওড়না পেচোনো ছিলো। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, সোনাবানুর স্বামী মারা যাবার পর এক সন্তান নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই স্বামীর আগের ঘরের সন্তান ছিলো। দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে সোনাবানুর আরও দুটি সন্তান হয়। দ্বিতীয় স্বামী মারা যাওয়ার পর সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে নিজ ছেলে ও সতীনের ছেলের সাথে বিরোধ শুরু হয়। ওই জমির বিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে সোনা বানুকে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুঁতে রেখেছে তার আপন ছেলে। ছেলে আরিফ হোসেন ও তার স্ত্রী ইভাসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।