ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা বলবে তাই করবেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংঘর্ষ থামানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংঘর্ষ থামাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি পেলে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবো।
এদিন দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। শেষ খবর অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হলের বাইরের সড়কে অবস্থান করে ইট–পাটকেল ছুঁড়ছেন। অন্যদিকে হলের ভেতরে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল ছুঁড়ছেন। ওই এলাকায় অন্তত দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের হামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এছাড়া ছাত্রলীগের সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের হামলায় আহত নারী শিক্ষার্থীসহ শতাধিক ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে। আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের অসুস্থ ভাই বোনদের চিকিৎসা শেষে আজ আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। মিছিল করব। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।