নাশকতা মামলায় কারাগারে তৈমূর

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-26 12:38:23

নাশকতা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতার বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ বিশেষ আদালত-২-এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে, তৈমূর আলম খন্দকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও শিগগিরই তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। নারায়ণগঞ্জ কোর্র্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস বলেন, গ্রেফতার হওয়া তৈমূর আলম খন্দকারকে নারায়ণগঞ্জ বিশেষ ট্র্যাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে তৈমূরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে পুলিশ তৈমূরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অন্তত ১০জন আহত হয়। তৈমূরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক মিছিল করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু জানান, আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলের জন্য ভোট চাওয়ার সময় আদালতপাড়া থেকে পুলিশের একটি দল তৈমূর আলমকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলে। তখন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পুলিশের লাঠির আঘাতে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী রেজাউল করিম খান রেজা, আজিজুর রহমান মোল্লা এবং আমি-সহ ১০ আহত হন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ও পর চাপ সৃষ্টি করতেই তৈমূরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কামালউদ্দিন জানান, নাশকতা মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় তৈমূরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান জানান, ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ এলাকায় মিছিল বের করে পুলিশের ওপর হামলা চালান তৈমূর আলম ও তার লোকজন। সে সময় তারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এরপর এই মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হলে তৈমূর আলম খন্দকার পলাতক ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর