সেনাবাহিনীর চাকরির কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, নিখোঁজ ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং তিন জন নিখোঁজের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবাররা।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে নাছিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, প্রথমে ঘাটাইলের উপজেলার সজিবের কাছ থেকে কয়েক দফায় চাকরি দেয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সেনাবাহিনীর সদস্য কনক। পরবর্তীতে তিনি গোপালপুর উপজেলার আতিকের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা এবং জামালপুরে জেলার বাসিন্দা উজ্জলের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। ওই তিন জনকে সেনাবাহিনীর ভূয়া নিয়োগপত্র দেয়া হয়। পরে কুমিল্লা ক্যান্টমেন্টে যাওয়া কথা বলে ৩ জনকে নিয়ে যায় সেনাবাহিনীর সদস্য কনক। কিন্তু প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস ধরে আমরা তাদের কোন খোঁজ খবর পাচ্ছি না। আমরা এ ঘটনায় ঢাকায় সেনাবাহিনীতে অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান পাইনি। এমনকি অভিযুক্ত সেনা সদস্যের কনকের কোন শাস্তিও দেয়নি কর্তৃপক্ষ। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ কোন মামলা নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের সন্তানদের ফিরে পেতে আকুল আবেদন করছি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তিনজন পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

   

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে আমি মারা যাব: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

আমি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে মারা যাবো। কাজেই তিনি যেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়েন সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে কিন্তু আমাকে আর গুলি বোমা লাগবে না, এমনিতেই শেষ হয়ে যাব। কাজেই এরাই আমার প্রাণ শক্তি। এটুকু মনে রাখতে হবে।

বুধবার (২৬ জুন) এসএসএফ’র ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে তার কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে আয়োজিত দরবারে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি বিষয় আমি নিশ্চই বলবো, আমরা রাজনীতি করি। আমার আর কোন শক্তি নেই। শক্তি একমাত্র জনগণ। সেই জনগণের শক্তি নিয়েই আমি চলি। তিনি বলেন, কাজেই জনবিচ্ছিন্ন যাতে না হয়ে যাই, আমি জানি এটা কঠিন দায়িত্ব। তারপরেও এই দিকেও নজর রাখতে হবে যে এই মানুষগুলোর জন্যইতো রাজনীতি করি। মানুষদের নিয়েই তো পথ চলা। আর যাদেরকে নিয়েই দেশের মানুষের কাজ করি তাদের থেকে যেন কোনমতে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই।

সরকারপ্রধান বলেন, এটা সবসময়ই এসএসএফ’র সদস্যদের তিনি বলেন এবং মাঝে মধ্যে রাগও করেন। কাজেই এই বিষয়গুলো একটু সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখা দরকার। কারণ, তিনি যখন সরকারে ছিলেন না এই দেশের মানুষ এবং দলীয় লোক, তারাই তার পাশে ছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি এই সময় এক দরিদ্র রিকশাওয়ালার উপার্জনের সামান্য জমানো অর্থে তাদের দু’বোনের ঢাকায় যেহেতু কোন বাড়ি নেই এবং ধানমন্ডির বাড়িটিও তারা দান করেছেন সেজন্য তার নামে একটি জমি কেনার এবং তার কাছে হস্তান্তর করতে চাওয়ার একটি ঘটনার উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকবার তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে শোনে নাই। সেই রিকশাওয়ালার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সেই দলিলটা তার কাছে হস্তান্তর করতে চাইলে তিনি নিজে সেখানে গিয়ে তাদের বাড়ি তৈরি করে তার স্ত্রীর হাতে দলিল দিয়ে বলেন, এটা মনে করবেন আমারই বাড়ি, এখন আপনারা থাকবেন।

জাতির পিতার কন্যা বলেন, এই সাধারণ মানুষগুলোর জন্যই আমার রাজনীতি, এদের ভাগ্যের পরিবতন ও জীবনমান উন্নত করাই আমার লক্ষ্য। তাই এইসব মানুষগুলোর কাছ থেকে আমি বিচ্ছিন্ন হতে পারি না। কারণ, এরাই আমার চলার সব শক্তি জোগায়। এটা সকলকে মনে রাখার জন্য আমি অনুরোধ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

;

রাষ্ট্রদূতকে কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে কাজ করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও কুয়েতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও কুয়েতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে কুয়েতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, সাক্ষাৎকালে কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।

নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিক নির্দেশনা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাসস

;

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, আহত ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটিতে খয়রাবাদ সেতুর ঢালে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী একটি বাসের সাথে পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

এ সময় চালকসহ ৪ জন যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বরিশালের ফায়ার সার্ভিস, নলছিটি থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঝালকাঠি নলছিটি থানার এসআই শহিদুল আলম বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

;

উৎপাদন বাড়লেও রংপুরে মাছের ঘাটতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
মাছ বাজার/ছবি: বার্তা২৪.কম

মাছ বাজার/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগে গত ৫ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। তারপরও বিভাগটিতে মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এ অঞ্চলে বছরে মাছের চাহিদা ৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে চলতি বছর উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টন। সেই হিসেবে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৩২ হাজার মেট্রিক টন।

পানি মিঠা ও সুস্বাদ হওয়ায় রংপুর অঞ্চলের নদ-নদী, খাল-বিলে একসময় ২০০ প্রজাতির মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। কালের বিবর্তনে জলবায়ুর পরির্বতন ও পরিবেশগত কারণে প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের মাছের অপর্যাপ্ততায় রয়েছে নানামুখী সমস্যা। বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাদ্যের অভাবে স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

মৎস্য বিভাগ বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে মাছের একাধিক অভয়াশ্রম। বিশেষ করে দেশি মাছ চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আগামী দুই এক বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে মাছের ঘাটতি থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তিস্তার উজানে বাঁধ নির্মিত হওয়ায় এ অঞ্চলে জলশূন্যতা বিরাজ করছে। দিনাজপুর অঞ্চলের কাঁকর ও বালিযুক্ত মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম। সর্বত্রই প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

তবে এই অঞ্চলে পানি স্বাদু হওয়ায় খুব দ্রুত মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ। মৎস বিভাগ তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে শতাধিক নদী, খাল প্রায় ৪ লাখ হেক্টর, ৮৩৭টি বিলে ৪০ হাজার ২৮৮ হেক্টর, ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭০২টি পুকুরে ১২ হাজার ২৬৯ হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়। এছাড়া বর্ষাকালে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ হয়। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় দেড় কোটি ওপর মানুষের বসবাস।

শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক মিলে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিনে মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম। সেই হিসেবে একজন মানুষের প্রতিবছর মাছের চাহিদা প্রায় ২২ কেজি। কিন্তু চাহিদা অনুয়ায়ী মাছ খেতে পারছে না এই অঞ্চলের মানুষ। ফলে সারা বছরই মাছের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের সৃষ্টি পরিবেশগত পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় জলাশয়গুলোতে পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। দারি, টিলা, কালা বাটা, ঘোড়া, পুঁটি, বোল, চিতল, গজার, রিটা, বট শিং, ঘাউড়া, সালবাইম, কাচকি, ফলি, শিল বাইলা ইত্যাদি দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসলেও কিছু কিছু দেশি মাছের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে।

রংপুর মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলে মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশি পাবদা, টেংরা, শিং, মাগুর ইত্যাদি মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মৎস্য অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও মেরামত, সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলছে।

এছাড়া মৎস্যকে যান্ত্রিকীকরণের প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে মাছের ঘাটতি থাকবে না।

;