দেশে চলমান অচলাবস্থার মধ্যেও সীমিতভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম। গত পাঁচদিনে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলেও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল না। এই সময়ে ম্যানুয়েলি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন কাস্টম কর্মকর্তারা। গত তিন দিনে মোট ১৩টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে সবকিছু আগের মতোই চলবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম সূত্র জানায়, ২১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ১৩টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয়। এর মধ্যে ৮টি বাল্ক ও পাঁচটি কনটেইনার জাহাজ। কনটেইনার জাহাজগুলোর মাধ্যমে ২১ ও ২২ জুলাই দুই দিনে ৩ হাজার ৪৩৯টি কনটেইনারে ৭১ হাজার মেট্রিক টন পণ্য এবং বাল্ক জাহাজে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের (কয়লা, পেট্রোলিয়াম ওয়েল, পামালিন ওয়েল, বাল্ক ওয়েল) পণ্য খালাস হয়। এ ছাড়া পঁচনশীল পণ্য আঁদা, রসুন, পেঁয়াজ, মাছ, ফলমূল, শিল্প কারখানার কাঁচামাল ম্যানুয়েলি পণ্য খালাস হয়। ২১-২২ জুলাই দুদিনে ৫৫টি আমদানি চালানের বিপরীতে ৭৬ হাজার ৪৫৯ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য এবং ৯ হাজার ৭১৪টি রপ্তানি চালানের বিপরীতে ১৮ হাজার ৮০৯ মেট্রিক টন পণ্য চালান শুল্কায়ন করা হয়।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ২৩ জুলাই থেকে ল্যান কানেক্টিভিটির মাধ্যমে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে আমদানি চালান রপ্তানি চালান পুরোদমে দাখিল করা সম্ভব হয়। এতে ওইদিন (২৩ জুলাই) ৯৯৩টি আমদানি চালান এবং ৩ হাজার ৮২৩টি রপ্তানি চালান শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়।
তবে বুধবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পর চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি আরও স্বাভাবিক হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসে সব ধরনের কাজ শুরু হয়েছে। আগের মত প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দরেও।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে জানিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. মাহফুজুল আলম বলেন, ‘বুধবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে শুল্কায়নসহ কার্যক্রম করা যাচ্ছে। কোনো অসুবিধে হচ্ছে না।’