চারদিন পর স্বাভাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-07-24 23:13:55

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, প্রাণহানি, সহিংসতার পর স্বাভাবিক রূপে ফিরছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এরমধ্যে ইন্টারনেটসেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় চারদিন স্থবির ছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। 

বুধবার (২৪ জুলাই) চলমান কারফিউ শিথিলের সময় বৃদ্ধি ও ইন্টারনেটসেবা চালুর পর চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম।

এদিকে বিকল্প ব্যবস্থায় আমদানি-রফতানি নতুন চালান শুল্কায়নের মাধ্যমে পণ্য খালাস ও রফতানি পণ্য জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়েছে জানিয়ে বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমও চালু হয়েছে। কাস্টমস থেকে যেসব পণ্য শুল্কায়ন হচ্ছে, সেগুলো আমরা ডেলিভারি দিচ্ছি। এ জন্য কাস্টমসের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার ইমাম গাজ্জালী বলেন, মঙ্গলবার থেকে ম্যানুয়ালি পচনশীল পণ্য শুল্কায়ন শুরু হয়। বুধবার ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পর সব কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। কারো পে-অর্ডার ও চালান না থাকলে আমরা অঙ্গীকারনামা নিয়ে মাল খালাস করে দিচ্ছি।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশে চলমান কারফিউ পরিস্থিতি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় রোববার ও সোমবার বন্দর থেকে কনটেইনারের কোনো পণ্য খালাস হয়নি। তবে আমদানি পণ্যভর্তি ১৫২৫ টিইইউএস'স (২০ফুট এককের) কনটেইনার বন্দর থেকে বেসরকারি ডিপোতে নেওয়া হয়েছে। ইপিজেডগুলোতে (রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল) নেওয়া হয়েছে ৬৫ টিইইউএস’স কনটেইনার।

চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে আমদানির ৪২ হাজার ১২০ একক কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। সেখানে মঙ্গলবার ৪০ হাজার কনটেইনার ছিল। এতে নতুন করে বন্দরে আসা জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠা-নামা ও স্থানান্তরে কিছুটা জট দেখা দিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ও লাইটারিং চলছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহির্নোঙর থেকে সোমবার রাতেই ৭৯ হাজার টন এবং তার আগে রোববার ১ লাখ ১৬ হাজার টন পণ্য খালাস হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সব অংশীজন চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল রাখার জন্য প্রস্তুত। চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে পণ্যের শুল্কায়ন করে দিলে বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

খালাস পণ্য যানবাহনের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের অন্য স্থানে পৌঁছানোর জন্য নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর