স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নাশকতার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ বিস্মিত হয়েছি, হতবাক হয়েছি। আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলাম যে, বাঙালি এই কাজ (ধ্বংসযজ্ঞ) কীভাবে করতে পারে! পরবর্তীতে মনে হয়েছে যে, এই বাঙালিইতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যা করেছে। এই বাঙালিরাই আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এই ঘটনাটাই আমাদের সবকিছু মনে করিয়ে দেয়। তবে নাশকতাকারী যেই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত নাশকতাকারীরা চিহ্নিত হবে না, ততক্ষণ আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, তবে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা বীরের জাতি। একাত্তরে অস্ত্র ছাড়াই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দূরদর্শী চিন্তাভাবনা সম্পন্ন একজন মানুষ। রংপুরে যে নাশকতা হয়েছে, এর পেছনে কারা জড়িত এবং কারা অর্থের জোগানদাতা সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, পকেটে হাত রেখে ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না। ওরা সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে। আমাদের যা করার কথা ছিল তা করতে পারিনি।
সভার শুরুতে সহিংসতায় রংপুরে ক্ষয়ক্ষতি ও সার্বিক পরিস্থিতি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান। এতে রংপুরে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পৌনে ১১ কোটি টাকা দেখানো হয়। এছাড়া নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১৮২ জন গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানানো হয়।
এর আগে, রংপুরে নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য টিপু মুনশিসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।